শারদোৎসবে উপলক্ষে ঘর পরিষ্কারের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় দিন পনেরো আগেই। নতুন বিছানার চাদর, কাচা পর্দা, ঝুল-কালি ঝেড়ে ঘর সেজে উঠে নতুন রূপে। জিনিসপত্র সঠিক জায়গায় থাকলে যে কতটা চোখের আরাম হয়, বোঝা যায় তখনই।
তবে পরিপাট্য বেশির ভাগ বাড়িতেই দু’দিনের অতিথি। সাজানো ঘরই এলোমেলো হয়ে যায় ক’দিন যেতে না যেতেই। সেই আবার খাওয়ার টেবিলে নানা রকম জিনিস বোঝাই হয়ে যায়, সাজগোজের টেবলিটিতে চুরি-হার এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকে।
তবে পুজোর মরসুমে ঘরদোর পরিপাটি রাখা সম্ভব একটু সতর্ক হলেই। কয়েকটি কৌশল খুব কাজের হতে পারে।
আরও পড়ুন:
১। বাইরে থেকে এসে খাবারের প্যাকেট, গাড়ির চাবি, টুকিটাকি জিনিস হাতের কাছের টেবিলে ছড়িয়ে ফেলা বেশির ভাগেরই অভ্যাস। এটাই কিন্তু ঘর অগোছালো হওয়ার অন্যতম কারণ। জায়গার জিনিস জায়গায় রাখতে হবে। চাবি রাখতে হবে নির্দিষ্ট কি-হোল্ডারে— এমন মানসিকতা কিন্তু ঘর পরিপাটি রাখতে সাহায্য করবে।
২। চার্জার, হেডফোন, চশমা—এই সব জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখলে দেখতে ভাল লাগে না। তা ছাড়া সব সময় সেগুলি গুছিয়ে রাখা ঝক্কি মনে হলে ব্যবহার করতে পারেন বেতের বা কাঠের শৌখিন বাক্স। কিংবা দেরাজে সেগুলি ঢুকিয়ে রাখতে পারেন।
এ রকম বাক্সে টুকিটাকি জিনিস ভরে রাখুন। ঘর পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি থাকবে।
৩। ট্রের ব্যবহারও জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করে। টি-টেবিল হোক বা খাওয়ার টেবিল, সুন্দর ট্রে যেমন অন্দরের শোভা বৃদ্ধি করে তেমনই এতে ছোটখাটো জিনিস তাতে সাজিয়ে রাখা যায়। পরিষ্কারের সময় শুধু ট্রে সরিয়ে দিলেই কাজ হয়।
৪। পুজোর মরসুমে বাড়িতে অতিথিরা আসবেন? নিয়মিত বালিশ-বিছানা, কুশনগুলি গুছিয়ে রাখুন। সোফায় গা এলিয়ে বসার পর কুশন বেঁকে পড়ে থাকে বহু বাড়িতেই। সোফা থেকে ওঠার পরই সেগুলি ঠিক করে দিলে পরিপাট্য বজায় থাকবে।
৫। শৌখিন জিনিসে ঘর সাজাতে গিয়ে জবরজং করে না ফেলাই ভাল। যত বেশি জিনিস, তত ধুলো পড়ার ভয়। অগোছালো হওয়ার ভয়। ঝাড়পোঁছের অসুবিধা। খুব কম জিনিসে কী ভাবে ঘর সাজানো যায়, পরিকল্পনা করুন।