বাড়ি ছোট হোক বা বড়, ঘর বেশি থাক বা কম, সব দিক গুছিয়ে রাখা যে বড্ড ঝক্কি, তা বলবেন সকলেই। গৃহিণীদের কথায়, হেঁশেল সামলানো যেমন কঠিন, তেমন ঘর গোছানোও সহজ নয়! তবে কঠিন কাজ সহজ হতে পারে ‘স্মার্ট’ কৌশলেই।
কোন জায়গার নজর দেবেন প্রতি দিন
ছুটির দিনে গুছিয়ে নেব, এই ভাবনা যেমন কাজ কঠিন করে দেয়, তেমনই লক্ষ্যও অধরা রয়ে যায়। তাই প্রতি দিন একটা নির্দিষ্ট সময় বার করুন। নজর দিন বাড়িতে প্রবেশের স্থান, হেঁশেল এবং বসার ঘরে। রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখাটা স্বাস্থ্যের জন্যই জরুরি।তা ছাড়া বাড়িতে আচমকা অতিথি বা বাইরের লোক আসতেই পারেন। বাড়িতে ঢুকেই অগোছালো জিনিস চোখে পড়লে বাড়ির লোকজন সম্পর্কে তাঁদের ধারণা মোটেই ভাল হবে না। তাই দিনের জরুরি কাজ সামলে খানিকটা সময় রাখুন এই জায়গাগুলি গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।
কাজ ভাগাভাগি
আজ নয়, কাল গোছাব এই মানসিকতা সমস্যা তৈরি করে। তা ছাড়া, গোটা বাড়ি একদিনে গুছিয়ে ফেলাও সম্ভব নয়। তাই বাড়ির কোন অংশ কবে গোছাবেন তা ভাগ করে নিন। ভাগ করে নিলে, সময় বাঁচে, কাজও সহজ হয়। পুরো বাড়ি অগোছালোও দেখায় না।
আরও পড়ুন:
আর কোথায় নজর দেবেন
রান্নাঘরে হেঁশেলের নীচে এঁটো বাসন, অপরিচ্ছন্ন স্নানঘরে নজর যায় দ্রুত। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ অভেন, এয়ার ফ্রায়ার, মিক্সারের নীচের অংশ, কাবার্ডের উপরের অংশ তেমন খেয়াল করা হয় না। নিয়ম করে এই স্থানগুলিও পরিষ্কার করা দরকার। অন্তত সপ্তাহে একদিন করলেও চলবে।
কাজ শেষ করুন
একটি কাজ করতে করতে অন্যটি শুরু করার প্রবণতা অনেকেরই থাকে। আর তার ফলেই দেখা যায়, সময়ের মধ্যে কোনও কাজই শেষ হচ্ছে না। যে কাজটি ধরেছেন, সেটি সম্পূর্ণ করে তবেই অন্য কাজে হাত দিন। ছোট্ট কৌশল কিন্তু খুবই কার্যকরী।
সবাই মিলে
ঘর পরিচ্ছন্ন রাখা, গোছানো বাড়ির কোনও একজনের দায়িত্ব হতে পারে না। খুদে থেকে বড় সকলকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলুন। ছোটদেরও খানিকটা দায়িত্ব দিন। ঘরদোর গুছিয়ে রাখাটাও যে জরুরি, তা তারা ধীরে ধীরে বুঝতে শিখবে। ঘর নোংরা করলে যে পরে তাদেরই তা গোছাতে হবে, সেটাও পরোক্ষে বুঝিয়ে দিতে পারেন। তবে বকে, ধমকে, মেরে নয়। ভাল কথায়, কৌশলে তাদের বোঝাতে হবে।