সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে অনেক হাত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দেশে এখন কোভি়ড-পরিস্থিতি ভয়াবহ। চারদিকে অক্সিজেনের আকাল। অক্সিজেন, প্লাজমা জোগাড় করতে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন নেটাগরিকরা। খ্যাতনামী, প্রভাবী, কলেজ পড়ুয়া— সকলেই এগিয়ে আসছেন এই বিপদের সময়। যাবতীয় জরুরি নম্বরের হদিস দিচ্ছেন তাঁদের প্রোফাইলে।
শহরে হু হু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। হাসপাতালে বেড পেতে যত সমস্যা, তার চেয়েও অসুবিধা হচ্ছে রোগীর চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন পেতে। গত কয়েক দিনে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। কোথায় অক্সিজেন পাওয়া যাবে এই দুশ্চিন্তা লেগেই রয়েছে। তাই নেটমাধ্যমে সকলেই চেষ্টা করছেন, তাঁদের মতো করে সাহায্য করতে। ফেসবুকে নানা গ্রুপ তৈরি হয়েছে যেখানে অক্সিজেনের হদিস দিচ্ছেন বিভিন্ন মানুষ। কোন ব্যক্তিকে ফোন করলে পাওয়া যাবে অক্সিজেন, দেওয়া হচ্ছে সেই নম্বরগুলিও।
এগিয়ে আসছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রভাবীরাও। তাঁরা মানুষকে বলছেন, নেটমাধ্যমে তাঁদের সঙ্কটের কথা লিখে পাঠাতে। সেই বার্তাই তাঁরা বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে। যাতে বেশি সংখ্যায় মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্যের আবেদন করা যায়।
ফেসবুক গ্রুপের মতোই বেশ কিছু জরুরি তথ্যের পেজ তৈরি হয়েছে ইনস্টাগ্রামেও। সেই পেজগুলির হদিস দিচ্ছেন নেটাগরিকরাই। এমনই একটি সর্বভারতীয় পেজের নাম ‘কোভিড এড রিসর্সেস’। শুধু অক্সিজেনের খোঁজই নয়, কোভিড-চিকিৎসার সব রকম তথ্য পেয়ে যাবেন এই পেজে। দেশের বিভিন্ন শহরের তথ্য এই পেজে প্রতি ঘণ্টায় দেওয়া হয়।
ইনস্টাগ্রামের আর এক প্রয়োজনীয় পেজের নাম ‘কলকাতা ফাইট্স কোভিড-১৯’। প্রত্যেক ঘণ্টায় নতুন তথ্য পাবেন এখানে। অক্সিজেন কোথায় পাওয়া যাচ্ছে, কোন হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে, প্লাজমা দিচ্ছেন যাঁরা তাঁদের খোঁজ— সব খোঁজই পাবেন এখানে।
তবে ভুয়ো খবর ছড়ানোর এটাই সময়। বেশ কিছু দিন ধরে ফেসবুকে ঘুরছে ৪০০ টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডারের খোঁজ। অনেকেই ফোন করতে গিয়ে দেখেছেন, নম্বরটিতে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাই যাচাই না করে কোনও পোস্টের উপর ভরসা না করাই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy