দইবড়া বানাবেন পরিকল্পনা ছিল। মিষ্টি চাটনি বানানোর জন্য তেঁতুলও এনে রেখেছিলেন। কিন্তু বানাতে গিয়ে দেখলেন ছত্রাক পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তেঁতুল। প্রত্যেক বার যেখানে যেমন করে তেঁতুল রাখেন, এ বারেও রেখেছেন। কিন্তু কী ভাবে নষ্ট হল, বুঝতে পারছেন না?
আরও পড়ুন:
এর কারণ হতে পারে বর্ষা। এই সময় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় খাদ্যবস্তু দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সেই তালিকায় থাকে তেঁতুলও। বিশেষত প্লাস্টিকে ভরে এদিক-সেদিক তেঁতুল ফেলে রাখলে তাতে সাদা সাদা তুলোট ছত্রাক দেখা দিতেই পারে। তেমনটা হলে তেঁতুল ফেলে দেওয়াই দরকার।
কী ভাবে তেঁতুল রাখলে তা ভাল থাকবে?
বায়ু নিরোধক কৌটো: বাতাসে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতাই শত্রু এ ক্ষেত্রে। ফলে তেঁতুল রাখুন পরিষ্কার বায়ুনিরোধী কৌটোয়। বাজারে তেঁতুল প্লাস্টিকে ভরে বিক্রি করা হয়। প্লাস্টিকে তেঁতুল রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই বাড়ি এনে সেটি পরিষ্কার কৌটোয় ভরে রাখুন।
কাচের পাত্র: তেঁতুল রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কাচের বয়াম। আগেকার দিনে মা, ঠাকুরামারা এ ভাবেই আচার রাখতেন। বয়ামের মুখ শক্ত করে এঁটে দিতেন। সেই পন্থাই কাজের। কাচের বয়ামে ঢাকনা শক্ত করে এঁটে রাখলে তেঁতুল দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে।
ফ্রিজে রাখুন: ফ্রিজে রাখলে চট করে বাতাসের সংস্পর্শে আসবে না তেঁতুল। বায়ুনিরোধক কৌটোয় পুরে, কৌটোটি ফ্রিজে রেখে দিন। অনেক দিন পর্যন্ত তেঁতুল ভাল থাকবে, স্বাদ-গন্ধ দুই-ই বজায় থাকবে।
তেঁতুলের ক্বাথ: আর একটি ভাল উপায় হল তেঁতুলের ক্বাথ বার করে সংরক্ষণ। গরম জলে তেঁতুল ভিজিয়ে ক্বাথ বার করে নিন। কাপড়ে ছেঁকে নিলেই বীজ এবং খোসার টুকরো বাদ চলে যাবে। ক্বাথটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন ফ্রিজে।