মাখন-পাউরুটি সঙ্গে কলা, ডিম সেদ্ধ বা ডিমের পোচ। খুব সাধারণ খাবার হলেও বেশ জনপ্রিয়। প্রাতরাশ হোক বা খুদের স্কুলের টিফিন— মাখন টোস্ট সুস্বাদু, বানানোও সহজ। কিন্তু প্রতি দিন একই মেনু কি ভাল লাগে? তা হলে বরং মাখনের স্বাদেই বদল আনুন। চটজলদি বানিয়ে ফেলুন ভিন্ন স্বাদ এবং গন্ধের মাখন।
হার্ব বাটার: চিরপরিচিত মাখনেই বাড়তি টুইস্ট আনা যায় সহজে। এ জন্য লাগবে নরম মাখন। তরল নয় বা শক্ত জমাটও নয়। তার মধ্যে মিহি করে কুচনো পার্সলে বা ধনেপাতা কিংবা পুদিনাপাতা মিশিয়ে দিন। কাঁটা চামচ দিয়ে মাখন এবং ধনেপাতা অথবা পার্সলে কিংবা পুদিনাপাতা খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। তা হলে নির্দিষ্ট পাতার গন্ধ এতে জুড়বে। স্বাদও বদলাবে।
আরও পড়ুন:
গার্লিক বাটার: রসুনের স্বাদ এবং গন্ধ যুক্ত মাখন বেশ জনপ্রিয়। ঘরেই সেটি বানিয়ে নিতে পারেন। নরম মাখনের সঙ্গে মিহি করে কুচোনো রসুন মিশিয়ে নিন। পিৎজ়া খাওয়ার বাজারচলতি হার্ব বা অরিগ্যানো এতে সামান্য একটু মিশিয়ে দিতে পারেন। তিন উপকরণ চামচের সাহায্যে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গার্লিক বাটার।
মাস্টার্ড বাটার: মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে মাস্টার্ড বা সর্ষের সস্। মাস্টার্ড সস্ কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে বাড়িতে সর্ষে, রসুন একসঙ্গে বেটে ছেঁকে নিতে পারেন। মাখনের সঙ্গে সেটি ফেটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বিশেষ স্বাদের মাখন। ভাজাভুজি খাবার এতে ডুবিয়ে খেতে দারুণ লাগে।
হানি চিলি বাটার: মাখন ফ্রিজ থেকে আধ ঘণ্টা আগে বার করে রাখুন। তার পর চামচের সাহায্যে ফেটিয়ে নিন। যোগ করুন স্বাদ মতো মধু এবং কাঁচালঙ্কা বাটা। মিষ্টি এবং ঝাল স্বাদের সঠিক সামঞ্জস্য যেন থাকে। সেদ্ধ করা সুইটকর্ন বা রোস্ট করা সামুদ্রিক মাছ অথবা মাংসের সঙ্গে এটি খেতে বেশ লাগবে।
রেড ওয়াইন বাটার: ওয়াইনে আপত্তি না থাকলে মাখনের সঙ্গে এটিও মেশানো যায়। রেড ওয়াইনের সঙ্গে মধু এবং রোজ়মেরি ফুটিয়ে নিন। মাখনের সিরাপটি ভাল করে মিশিয়ে ফ্রিজে ভরে রাখুন। ভিন্ন স্বাদের মাখন পাউরুটি, বেকড খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।