Advertisement
E-Paper

জাস্ট ম্যারেড? জেনে নিন ১০ ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান

সদ্য বিয়ে করেছেন? হনিমুনও শেষ? জীবনটা এমনিতে বেশ ভালই চলছে শুধু একটাই চিন্তা। খরচটা কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না। বার বার চেষ্টা করেও টাকা জমছে না। এ বার কিন্তু একটু সতর্ক হতে হবে। জীবন উপভোগ করুন। তার মাঝেই সাজিয়ে নিন ভবিষ্যতের দিনগুলো। জেনে নিন শুরু থেকেই কী ভাবে জীবনে আনবেন ফিনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:২৯

সদ্য বিয়ে করেছেন? হনিমুনও শেষ? জীবনটা এমনিতে বেশ ভালই চলছে শুধু একটাই চিন্তা। খরচটা কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না। বার বার চেষ্টা করেও টাকা জমছে না। এ বার কিন্তু একটু সতর্ক হতে হবে। জীবন উপভোগ করুন। তার মাঝেই সাজিয়ে নিন ভবিষ্যতের দিনগুলো। জেনে নিন শুরু থেকেই কী ভাবে জীবনে আনবেন ফিনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন।

১। বাজেট- হনিমুন থেকে ফিরেই খরচের বাজেট তৈরি করে নিন। জরুরি খরচের বাজেট তৈরি করে নিলে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া, সিনেমা দেখা, বেড়াতে, ঘুরতে যাওয়া কোনও কিছু করতেই অসুবিধা হবে না। ফিনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন থাকলে জীবন উপভোগও করবেন। সেই সঙ্গেই জামা কাপড়, গ্যাজেট কেনার পিছনে খরচ কমান। বিয়ের পর অনেকেই প্রচুর জামা কাপড় কেনেন। মাস ছ’য়েক পরই যা ফ্যাশনে থাকে না।

২। সেভিং ও ইনভেস্টমেন্ট- আয় যেমনই হোক না কেন প্রতি মাসে অন্তত কিছুটা পরিমাণ টাকা সেভিংসে রাখুন, ইনভেস্ট করুন। জীবনের শুরুতেই ফিনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন পরে জীবনকে অনেক সহজ করবে। অনেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে দেরি করে ফেলেন। মনে রাখবেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ-দশ বছরের দেরি অনেকটাই পার্থক্য গড়ে দেয়।

৩। টার্গেট সেট করুন- টাকা জমানোর টার্গেট সেট করুন ও লক্ষ্য পূরণ হলে নিজেকে পুরস্কার দিন। যেমন ধরুন যদি বছরে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমাতে পারেন তাহলে বেড়াতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ করবেন। এটা করলে জীবন উপভোগও করবেন, আরও বেশি টাকা জমানোর ইচ্ছাও হবে।

৪। মেডিক্যাল ও লাইফ ইন্সিওরেন্স- জীবনের শুরুর দিকে অনেকেই মেডিক্যাল ও লাইফ ইন্সিওরেন্স খাতে বিনিয়োগ করা অবহেলা করেন। যখন জীবনে জরুরি সময় এসে উপস্থিত হয় তখন মেডিক্যাল ইন্সিওরেন্সের কথা মাথায় আসে। অথচ এই দুটোই জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অল্পবয়সে এই সব খাতে বিনিয়োগ শুরু করলে প্রিমিয়াম কম থাকে।

৫। বিনিয়োগ ও কর- ইনভেস্টমেন্ট ও ট্যাক্স সম্পর্কে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারনা থাকে না। অথচ জীবনে শৃঙ্খলা আনতে, সফল ভাবে বিনিয়োগ করতে বাজারে কী কী ধরনের বিনিয়োগের সুবিধা রয়েছে, কোন বিনিয়োগে লাভ সবচেয়ে বেশি সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন। ঝুঁকি কম অথচ লাভ বেশি এমন বিনিয়োগের পথ বেছে নিন। প্রতি সপ্তাহে এক ঘণ্টা অন্তত বিনিয়োগ নিয়ে পড়াশোনা করুন। সেই সঙ্গেই সচেতন হোন ট্যাক্সের বিষয়ে। সরকারের কর বাঁচানোর উপায়ের সাহায্য নিন। আগে থেকে প্ল্যান করে রাখলে অনেকটাই টাকা বাঁচানো যায়। শেষ মুহূর্তে কর বাঁচাতে উঠে পড়ে লাগবেন না।

৬। ইনভেস্টমেন্ট অপশন- বিয়ের পর পর বিনিয়োগ করা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত। এর মানে আপনার সামনে অনেকটা জীবন পড়ে রয়েছে। তাই এমন বিনিয়োগ বেছে নিন যাতে বেশি সময়ের জন্য লাভবান হবেন।

৭। ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড- এই মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের ওঠানামার উপর নির্ভরশীল। যে কারণে অনেকেই ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান না। তবে জীবনের শুরু দিকে ওঠানামা এলেও লম্বা সময়ের জন্য কিন্তু আপনি লাভবান হবে।

৮। পিপিএফ, ইপিএফ ও এফডি- এই ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। সুদের পরিমাণ আগে থেকেই আপনার জানা থাকে। যদিও ইক্যুইটি ফান্ডের থেকে সুদের পরিমাণ অনেকটাই কম। তবে পুরোটাই এ ভাবে বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকি কমাতে কিছুটা এফডি করে বাকি টাকা ইক্যুইটি ফান্ডে রাখুন।

৯। ব্যালান্সড ফান্ড- ইক্যুইটি ফান্ড ও বিভিন্ন বন্ড মিলে তৈরি হয় ব্যালান্সড ফান্ড। এগুলো ইক্যুইটির থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ, আবার পিপিএফ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে ঝুঁকি বেশি।

১০ অন্যান্য- এ ছাড়াও রয়েছে গোল্ড ফান্ড, ইনডেক্স ফান্ড, কর্পোরেট ডিপোজিট, বিভিন্ন সরকারি স্কিম। নিজের আয়, বিনিয়োগের পরিমাণ ও ঝুঁকির মাত্রা দেখে যা আপনার জন্য লাভজনক ও সুবিধাজনক বেছে নিন।


saving investment money control lifestyle just married
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy