ব্যস্ত জীবনে দম ফেলার ফুরসত কই? বহু বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দেখা হয় শুধু খাওয়া বা কাজের কথা বলার সময়ে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই একা হয়ে পড়েন বাবা-মায়েরা। সন্তানের ব্যস্ততা, দূরত্বও তৈরি করে। সেই সব সমস্যা দূরে সরিয়ে পিতৃদিবসের একটি সন্ধ্যা বা রাত উপভোগ করতে পারেন একটু অন্য ভাবেও।
সন্ধেয় গঙ্গা আরতি
বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন একটু খোলা জায়গায়। গরমের দিনে শহরের মধ্যে কোথাও যেতে হলে গঙ্গা কিন্তু ভাল উপায়। মিলেনিয়াম পার্ক, বাবুঘাট থেকে গঙ্গা ভ্রমণের জন্য বিকেলে ক্রুজ ছাড়ে। ভিতরেই চা, স্ন্যাক্স কিনতে পাওয়া যায়। গঙ্গাবিহারের পাশাপাশি সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতিও দেখা যায় ক্রুজ থেকেই। তেমনই গঙ্গাবিহারের পরিকল্পনা করতে পারেন। যদি তা না পারেন, গঙ্গার পাড়েই উন্মুক্ত পরিবেশে যে সব ক্যাফে তৈরি হয়েছে, তার কোনওটিতে বাবার সঙ্গ যাপন করতে পারেন কফি, চায়ের সঙ্গে।
সিনেমাই বা বাদ যায় কেন?
সন্ধ্যার পরিকল্পনা হোক অন্য ভাবে। ছোটবেলায় বাবা যে সিনেমাগুলি আপনাকে দেখিয়েছিলেন, তারই কোনও একটি স্মার্টফোন থেকে চালিয়ে দিন। হাতের কাছে ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি থাকলে ঘরটাকেই প্রেক্ষাগৃহ করে ফেলুন। পপকর্ন, কোল্ড ড্রিংকস নয়, পাড়ার দোকানের মুচমুচে ডালবড়া বা তেলেভাজা থাকতে পারে মুড়ি-চানাচুরের সঙ্গে।
গাড়ি নিয়েও বেরোনো যায়?
বয়স্ক বাবা-মায়েদের দিন কাটে বাড়িতেই। সম্ভব হলে গাড়ি করে তাঁদের নিয়ে কোনও জাতীয় সড়ক ধরে হাওয়া খেয়ে আসতে পারেন। রাস্তার পাশের ধাবায় বসে চা, শিঙাড়ার সঙ্গতও মন্দ হবে না।
নৈশভোজ
ভোজ সারতে বাইরে যেতে পারেন। আর যদি খাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ থাকে, তা হলে বাড়িতেই পছন্দের রান্না হতে পারে। বাবার পছন্দের রান্না করতে পারেন নিজে হাতেই। কিংবা সেই সব আয়োজন করে সপরিবার খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনাও মন্দ হবে না।
পরিকল্পনা হোক ভবিষ্যতের
ছোটবেলায় ছেলেমেয়ের আবদার পূরণ করেন বাবা-মায়েরা। বাবাদের মনেও কিছু এমন শখ কিন্তু থাকে। সপরিবার ভ্রমণের শখ হতে পারে, পুরনো স্মৃতি উস্কে কোথাও যাওয়ার ইচছা থাকতে পারে, সেটি পূরণ করা যায় কি না দেখুন।