স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাবার তালিকায় ওট্স পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে গত কয়েক বছরে। অলিগলির দোকানেও এখন পাওয়া যায় এই দানাশস্যটি।
ফাইবারে পরিপূর্ণ ওট্সে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এতে ক্যালোরির পরিমাণও বেশ কম। ডায়াবিটিসের রোগীও অনায়াসে এই খাবার খেতে পারেন। পুষ্টিগুণের জন্যই সকালের জলখাবার হোক বা রাতের খাবার হিসাবে ওট্সের চাহিদা বাড়ছে। দুধে ভিজিয়ে, খিচুড়ি করে, স্মুদি হিসাবে এটি খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
নিয়মিত ওট্স খাওয়া হয় বলে একসঙ্গে অনেকটা কিনে রাখেন অনেকেই। বহু বাড়িতেই ওট্স প্যাকেটে রেখে দেওয়া হয়। প্রতি দিন প্রয়োজন মতো বার করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে প্যাকেট আটকে দেওয়া হয়। তবে এ ভাবে রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ দিন দানাশস্য ভাল রাখতে হলে কী ভাবে রাখবেন?
১. ওট্স বায়ুনিরোধী কৌটোয় ঢেলে রাখলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে। প্যাকেটে রাখলে ওটসে হাওয়া ঢুকতে পারে। ঠিকমতো প্যাকেটের মুখ না আটকালে পোকামাকড়ও হতে পারে। ফলে কিনে আনার পরেই বায়ুনিরোধী কোনও কৌটোয় তা ঢেলে নিন।
২. উষ্ণ এবং আর্দ্র জায়গায় যে কোনও খাবার চট করে নষ্ট হয়ে যায়। যে কোনও খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে তাপমাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বাইরে রাখার বদলে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিলে তা অনেক দিন ভাল থাকবে। পোকা ধরার ঝুঁকিও থাকবে না। ওট্স কয়েক মাস ভাল রাখতে হলে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রাখাই শ্রেয়।
৩. যদি একান্তই ওট্স বাইরে রাখতে হয় তা হলে অক্সিজ়েন অ্যাবজ়র্বার ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ছোট প্যাকেটে এটি পাওয়া যায়। ওট্সের কৌটোয় সেটি ফেলে রাখলে চট করে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।