কাপড়ে খাবার বা পানীয় অথবা রং পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলার নিয়ম। নয়তো শুকিয়ে গেলে দাগ তোলা কষ্টসাধ্য কাজ। কিন্তু এমন সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে সব সময়ে না-ও থাকতে পারেন কেউ। হয়তো হাতের কাছে জল নেই যে আপনি দাগ ধুয়ে ফেলতে পারবেন। অথবা কাপড়ে কিছু পড়েছে, তা সময় মতো টের পাননি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দাগ লেগে যাওয়া পোশাক ওয়াশিং মেশিন কেচে শুকিয়ে নেওয়ার পর দেখা যায়, দাগ যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তার কারণ ড্রায়ারের উষ্ণ হাওয়া সেই দাগকে আরও জেদি করে তোলে।
সে ক্ষেত্রে শুকিয়ে যাওয়া দাগ তোলা কি একেবারেই অসম্ভব? কোনও কোনও সময়ে হাজার চেষ্টা করেও সাবান দিয়ে দাগ তোলা যায় না। কাপড় এক বার শুকিয়ে গেলে দাগ যেন আরও চেপে বসে। তবে ধৈর্য ধরে সঠিক উপায়ে চেষ্টা করলে শুকিয়ে যাওয়া দাগও দূর করা সম্ভব। তার জন্য দাগের ধরন চিনে পদক্ষেপ করতে হবে।
শুকিয়ে যাওয়া দাগ তোলা কি একেবারেই অসম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
কোন ধরনের দাগ কী ভাবে তুলবেন?
আঠালো দাগ
অল্প একটু বাসন ধোয়ার সাবান ও বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট দাগের উপর লাগিয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষুন। আধ ঘণ্টা রেখে দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে ধুয়ে ফেলুন। অথবা জলে ভিজিয়ে রাখার নিয়মও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। বালতি বা গামলায় গরম জলে ভরে তাতে অক্সিজেন ব্লিচ মিশিয়ে নিন। তাতে কাপড়টি কয়েক ঘণ্টা বা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এতে তেলচিটে, জেদি দাগও কাপড় থেকে আলগা হয়ে যায়। অক্সিজেন ব্লিচ কাপড়ের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
আরও পড়ুন:
রক্ত বা ঘামের দাগ
রক্ত বা ঘাম মূলত প্রোটিনভিত্তিক দাগ। তার জন্য কার্যকরী হয় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং বাসন মাজার সাবান। এক ভাগ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের সঙ্গে দু’ভাগ সাবান মিশিয়ে নিন। সেই মিশ্রণ দাগের উপর লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। আরও এক বার স্বাভাবিক নিয়মে মেশিনে ঘুরিয়ে নিতে পারেন।
জামায় দাগ বসতে না দেওয়ার উপায় কী?
· দাগ না পড়ার জন্য তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।
· ধোয়ার আগে সব কাপড় ভাল করে পরীক্ষা করুন, দাগ রয়েছে কি না।
· রক্ত বা ঘামের দাগ থাকলে সব সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।
· যদি দাগ কিছুতেই না ওঠে, অথবা কাপড়টি যদি খুব দামি হয়, তা হলে বাড়িতে চেষ্টা না করে পেশাদারের সাহায্য নেওয়া উচিত। নয়তো দাগও উঠবে না, কাপড়টিও ক্ষয়ে যাবে।