কমোড নিয়মিত পরিষ্কার করলেও অনেক সময় হলদেটে দাগছোপ যেতে চায় না। রাসায়নিক ব্যবহারেও যে কাজ কখনও কখনও হয় না, সেই কাজ সহজ হতে পারে বরফের ব্যবহারে।
কমোডে হলদেটে দাগছোপের কারণ সবসময় অপরিচ্ছন্নতা হয় না। কোথাও কোথাও জলে থাকা খনিজ জমেই এমন দাগ তৈরি হয়। বিশেষত যে সব জায়গায় জলে আয়রন বেশি, সেখানে কমোডে লালচে বা হলদেটে দাগ হয়।
আরও পড়ুন:
সেই দাগ তুলে দিতে পারে বরফ! বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বরফ খনিজের পরতের উপর হালকা ফাটল ধরাতে সক্ষম। অতি সূক্ষ্ম সেই ফাটলের ভিতরে বরফের জল প্রবেশ করলেই সেটি হালকা হয়ে যায়। তার পর ব্রাশ দিয়ে ঘষাঘষি করলেই দাগ তোলা সহজ হয়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
· কমোডে প্রচুর পরিমাণে বরফকুচি ঢেলে দিন। খেয়াল রাখতে হবে, দাগের অংশগুলি যেন বরফে ঢাকা পড়ে। এই অবস্থায় অন্তত ৩০-৪০ মিনিট তা রেখে দিন। তার পর বরফ গললে ব্রাশের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিন।
· দু’-তিন দিন অন্তর যদি রাতে বরফকুচি দিয়ে রাখেন কমোডে, সকালে ফ্লাশ করে দিলেই কমোড ঝকঝকে হয়ে থাকবে।
· তবে বরফ কোনও কোনও ধরনের দাগ অনেকটা হালকা করতে পারলেও এটি জীবাণুনাশক নয়। তাই বরফ ব্যবহারের পাশাপাশি কমোড পরিষ্কারের রাসায়নিক প্রয়োগ করলে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে বরফের ব্যবহার রাসায়নিকের ব্যবহার কমাতেও সাহায্য করবে। রাসায়নিকের প্রয়োগ শরীর বা পরিবেশ, কোনওটির জন্যই ভাল নয়।
· কমোডের হলদেটে দাগ একেবারে উঠতে না চাইলে আধ ঘণ্টা বরফ দিয়ে রাখার পর শৌচালয় পরিষ্কারের রাসায়নিক কিছুটা ঢেলে দিন। মিনিট ১৫ সেটি রেখে দিন। তার পর ব্রাশের সাহায্য পরিষ্কার করুন।
· সহজ কৌশলেই ঝকঝকে থাকবে শৌচালয় এবং স্নানঘর। কমোডের দুর্গন্ধ দূর করতে মাঝেমধ্যে বরফ ব্যবহারের পাশাপাশি একটু বেকিং সোডা কিংবা ভিনিগার ছড়িয়ে দিতে পারেন।