ভারতে সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজার ভরে ওঠে টুকটুকে লাল লাল বেদানায়। রসেভরা ছোট ছোট দানায় ভরা ফল যদি সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা হয়, তা হলে রসালো দানা চটজলদি শুকিয়ে যেতে পারে। বেদানা ঠিক মতো রাখলে বহু দিন টিকে থাকে। কেবল মানতে হবে কয়েকটি সহজ নিয়ম। ঠান্ডা, শুকনো আর রোদ না পড়া জায়গায় রাখলে দ্রুত পচন ধরবে না। যদি দু’তিন দিনের মধ্যে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে রান্নাঘরের টেবিলেই রাখতে পারেন। তবে যদি বেশি দিন টাটকা রাখতে চান, তা হলে ফ্রিজই সবচেয়ে ভরসাযোগ্য জায়গা। বেদানার পুষ্টিগুণ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে সংরক্ষণের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
অনেকেই মনে করেন, বেদানা টেবিলেই রাখা উচিত, অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রায়। তার কারণ বাজারে সাধারণত ঘরের তাপমাত্রাতেই বিক্রি হয়। কেউ ভাবেন, ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা উচিত। কোনটি ঠিক, কোনটি ভুল?
ফ্রিজ হোক বা স্বাভাবিক তাপমাত্রা, কোনও ভাবেই জলে ধুয়ে রাখবেন না। এর ফলে দ্রুত পচন ধরে যেতে পারে। তা ছাড়া সতর্ক থাকবেন, যেন ইথাইলিন নিঃসরণ করে এমন ফলের (কলা বা আপেল) পাশে না থাকে বেদানা। নয়তো একে অপরের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় রাখলে বেদানা প্রায় এক সপ্তাহ টাটকা থাকবে। যদি ফ্রিজে থাকে, তা হলে মাসখানেকের আগে পচন ধরবে না।
কিন্তু যদি বেদানার খোসা ছাড়িয়ে বীজগুলি বার করে নেন, তবে সেগুলি সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ছাড়া গতি নেই। খোসা থেকে বেরোনোর পর পরই বীজের মেয়াদ কমতে থাকে। সম্পূর্ণ শুষ্ক অবস্থায় ফ্রিজে ভরে রাখতে হবে। তবে কাগজের রুমাল দিয়ে মোড়ানো বাটিতে রাখলে বাড়তি সুবিধা মেলে। বেদানার বীজগুলির মধ্যে যদি কোনও ভাবে আর্দ্রতা থেকে যায়, তা হলে কাগজের রুমাল তা শুষে নিতে পারবে।