Advertisement
E-Paper

ওয়ানাপার্থির ৪০০ বছরের পুরনো মন্দিরে বিয়ে করবেন অদিতি-সিদ্ধার্থ, কী বিশেষত্ব সেই মন্দিরের, এখানে আর কী দেখার আছে?

তেলেঙ্গানার ওয়ানাপার্থির মন্দিরেই সিদ্ধার্থের সূর্যনারায়ণের সঙ্গে বিয়ে হবে অদিতি রাও হায়দারির। ৪০০ বছরের পুরনো সেই মন্দিরের বিশেষত্ব কী?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:১৯
ওয়ানাপার্থির এই মন্দিরেই কি চার হাত এক হবে অভিনেত্রী অদিতির সঙ্গে সিদ্ধার্থের।

ওয়ানাপার্থির এই মন্দিরেই কি চার হাত এক হবে অভিনেত্রী অদিতির সঙ্গে সিদ্ধার্থের। ছবি: সংগৃহীত।

চার হাত এক হচ্ছে অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি ও সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণের। মার্চেই আংটি বদল করেছিলেন তাঁরা। তবে সেই অনুষ্ঠান ছিল গোপনীয়তায় মোড়া। বিয়ের দিনক্ষণ স্থির না হলেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তাঁরা। তবে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নয়। তেলঙ্গনার ওয়ানাপার্থির ৪০০ বছরের পুরনো একটি মন্দিরেই তাঁদের বিবাহ হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেত্রী। কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, এই মন্দিরের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক ও বিশ্বাস।

গত ২৭ মার্চ তেলেঙ্গানার শ্রীরঙ্গপুরমে রঙ্গনায়কস্বামী মন্দিরে আংটি বদল হয়েছিল অদিতি ও সিদ্ধার্থের। পুরনো এই মন্দিরেই কি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন ‘হীরামন্ডি’ খ্যাত অভিনেত্রী?

তা অবশ্য তিনি খোলসা করেননি। তবে অদিতির ইঙ্গিত অনুযায়ী এই মন্দিরটি শ্রী রঙ্গনায়কস্বামী হওয়ার কথা। কারণ, অদিতির প্রপিতামহ জে রামেশ্বর রাও ছিলেন ওয়ানাপার্থির রাজ পরিবারের সন্তান। সেই যোগসূত্রের বিচারে এই মন্দিরটি তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

জানা যায়, অষ্টাদশ শতকে তৈরি হয়েছিল ওয়ানাপার্থির এই মন্দিরটি। তৈরি করেছিলেন এখানকার রাজারা। রঙ্গনায়কস্বামী আসলে বিষ্ণুরই রূপ। প্রতি বছর এই মন্দিরে অন্তত ৩০০টি বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। গ্রামের ৫০০ জন বাসিন্দা প্রতিটি বিয়েতে অংশ নেন। স্থানীয়দের কাছে জাগ্রত এই মন্দির। সংক্রান্তির সময় এখানে বিশেষ উৎসবে পর্যটকের ঢল নামে। শ্রাবণ মাসেও দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসনে এখানে। মন্দির সংলগ্ন বিশাল জলাশয়টিও দেখার মতো।

দর্শনের সময়: মন্দির খোলা থাকে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত। বিকেল চারটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।

ওয়ানাপার্থি ও তার আশপাশে রয়েছে একাধিক দর্শনীয় স্থান। রাজপ্রাসাদ, মন্দির, দুর্গ।

রাজপ্রাসাদ -ওয়ানাপ্রার্থির রাজ প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করেন বীরকৃষ্ণ রেড্ডি। বর্তমানে এটি পলিটেকনিক কলেজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একে মুস্তাফা মহলও বলা হয়। বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে রয়েছে এই প্রাসাদ। সামনেই রয়েছে বিশাল মাঠে। সেখানে স্থানীয় লোকজন সেখানে ঘুরতে আসেন। খেলাধুলো করেন পড়ুয়ারা। ভিতরেই রয়েছে পাথরে বাঁধানো জলাশয়। রয়েছে একটি ছোট্ট মন্দিরও।

ভেঙ্কটশ্বর স্বামী মন্দির-মহেবুবনগরে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মন্দিরটি। তৈরি করেছিলেন পেধা জিয়র স্বামী। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে পাণ্ডু রঙ্গস্বামী মন্দির।

ঘানপুর দুর্গ- মহেবুবনগরেই রয়েছে আরও একটি দর্শনীয় স্থান ঘানপুর দুর্গ। কাকাতিয়া রাজবংশ এই দুর্গটি তৈরি করেছিল। ঐতিহাসিক এই স্থান এখন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়। পাথুরে সিঁড়ি চড়ে প্রাচীন এই দুর্গে আসতে হয়। উপর থেকে পুরো শহরটাই দেখতে অসাধারণ লাগে।

কী ভাবে যাবেন?

ওয়ানাপার্থির সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর হল হায়দরবাদে। শামশাবাদা-রাজীব গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখান থেকে শহরটির দূরত্ব মোটামুটি ১২০ কিলোমিটার। রঙ্গানায়কস্বামী মন্দিরে যেতে হলে গাড়োয়াল স্টেশন কাছে হবে। এখান থেকে মন্দিরের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। ওয়ানাপার্থি একটি জেলা। ওয়ানাপার্থি রোড স্টেশনে নেমেও বিভিন্ন জায়গা ঘুরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া তেলঙ্গনা থেকেও দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখা সম্ভব।

কোথায় থাকবেন?

এখানে থাকার জন্য একাধিক হোটেল রয়েছে।

Wanaparthy Aditi Rao Hydari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy