Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Transgender

Euthanasia: মরতে চাই না, তবে আর কোনও পথ খোলা নেই! স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন রূপান্তরকারী মহিলার

এক প্রকার বাধ্য হয়েই স্বেচ্ছামৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চাইছেন কর্নাটকের রূপান্তরকামী মহিলা রিহানা ইরফান। তবে কি রূপান্তরিত হওয়াই কাল হল?

কেন স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন রিহানা?

কেন স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন রিহানা?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ২১:২৫
Share: Save:

মরতে চান না তিনি। কিন্তু এ জীবনের থেকে তো মরণও ভাল! হতাশা, লাঞ্ছনা আর অপমান ছাড়া আর কিছুই নেই তাঁর জীবনে। এমনই বক্তব্য। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই স্বেচ্ছামৃত্যুর রাস্তায় বেছে নিতে চাইছেন কর্নাটকের রূপান্তরকামী মহিলা রিহানা ইরফান। রিহানার কথায় ২৯ বছরের জীবনে প্রত্যাখান ছাড়া কিছুই পাননি তিনি। একে একে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সকলেই। রোজের দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাও তাঁর পক্ষে মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই জীবনের থেকে মৃত্যুকেই বেশি সুখের মনে হচ্ছে তাঁর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “মাথার উপর নির্দিষ্ট ছাদ নেই, চাকরি নেই। কী করব? কোথায় যাব? সপ্তাহ দুয়েক আগে কর্নাটক সরকারের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি।”

রিহানার আশা ছিল সরকারি কোনও হোমে আশ্রয় পেলে সম্মানজনক জীবন পাবেন তিনিও। কিন্তু কোথায় কী! রিহানার অভিযোগ, আশ্রয় তো দূরের কথা, তাঁকে সাহায্য করতে সরকার একটুও আগ্রহী নয়। সাহায্যের পরিবর্তে তিনি পেয়েছেন অপমান, মানসিক যন্ত্রণা। এখন পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে, অসুস্থ থাকলে খাবারটুকুও জোটানো মুশকিল এই রূপান্তরকামীর।

রিহানা জানিয়েছেন, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার পর আর লেখাপড়া করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। যে কোনও কাজ আন্তরিকতার সঙ্গে করতে চান তিনি। ভিক্ষা নয়, সম্মানের সঙ্গে খেটে রোজগার করতে চান। কিন্তু রূপান্তকামী বলে কেউই তাঁকে কাজে নিতে চান না বলে অভিযোগ। যে বাড়িতেই তিনি ভাড়া থাকেন, তাঁর লিঙ্গ পরিচয় জানার পর সকলেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করার পর থেকেই এখন তাই মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছেন না তিনি। তবে, রেহানার সেই আবেদনও প্রাথমিক ভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Transgender Euthanasia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE