E-Paper

কেয়া শেঠের টোটকা! আটকে রাখুন ত্বকের বয়স

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪০
কেয়া শেঠ

কেয়া শেঠ

সতেজ টানটান ত্বক কে না চায়! এবং সেই ত্বকের গোপন রহস্য যুগ যুগ ধরে মানুষ সন্ধান করে চলেছে। ইতিহাসের ক্লিওপেট্রা থেকে আজকের যুগের নারী, সকলেই ত্বকের বয়স ধরে রাখার প্রাকৃতিক উপায়ের খোঁজে ব্যস্ত।

ত্বকের বয়স ধরে রাখার উপায় জানতে গেলে এই পঞ্চম ইন্দ্রিয় অর্থাৎ ত্বক সম্মন্ধে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে নিতে হবে সবার আগে।

মানুষের ত্বক হলো শরীরে সবচেয়ে বড়ো অঙ্গ যার মোট আয়তন প্রায় ২০ বর্গফুট। বাইরের নানান উপাদান এবং জীবাণুর হাত থেকে ত্বক সমস্ত শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, স্পর্শ, এবং বিভিন্ন অনুভূতির অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।

তিনটে স্তরে গঠিত আমাদের ত্বক। সবচেয়ে উপরের স্তর এপিডার্মিস যা ত্বকের আস্তরণ তৈরী করে এবং স্কিন টোন প্রদর্শন করে। এরপরের স্তর হলো ডার্মিস, ত্বকের সংযোগকারি টিস্যু, হেয়ার ফলিকল, এবং সোয়েট গ্ল্যান্ডস ধারণ করে। শেষ এবং গভীরতর স্তর হলো হাইপোডার্মিস, আমাদের ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কিত নার্ভস, টিস্যু এবং ফ্যাট সঠিক ভাবে ধরে রেখে ত্বকের ভিত তৈরী করে। এপিডার্মিসে থাকা মেলানোসাইটস বা সাধারণ ভাষায় মেলানিন ত্বকের রং নির্ধারণ করে। তবে এই রং নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো অনেক ফ্যাক্টরও কাজ করতে পারে।

আমাদের শরীরের বয়সের পাশাপাশি বয়স বাড়ে আমাদের ত্বকেরও এবং তার ফলে লক্ষ্য করা যায় নানান লক্ষণ যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় সাইন্স অফ স্কিন এজিং বলে থাকি। প্রাথমিক ভাবে ত্বক ডাল এবং শুস্ক হয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া এবং বলিরেখা ইত্যাদি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপরের স্তর এপিডার্মিস পাতলা হয়ে যায় এবং মেলানিন ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে ফলে ত্বক হয়ে পড়ে ফ্যাকাশে। অন্যদিকে সংযোগকারী টিস্যুগুলির ইলাস্টিসিটি ক্ষয় হওয়ার ফলে ত্বক ইলাসটোসিসের শিকার হয়ে পরে এবং চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কোলাজেন ব্রেকডাউন, ত্বকের অক্সিডেশন, গ্লাইকেশন ইত্যাদি কারণ ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী।

আজকাল ইন্টারনেটের কল্যাণে বিভিন্ন পরামর্শ এবং কৌশল আমরা জানতে পারছি প্রতিদিন, যেমন রোজকার সঠিক ডায়েট মেইনটেইন করা, শরীরকে সম্পূর্ণ ভাবে হাইড্রেটেড রাখা, ত্বকের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার, সম্পূর্ণ নিকোটিন বর্জন, ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকায় রয়েছে চমৎকার কিছু গুণ। যেমন পাকা পেঁপেতে রয়েছে পেপেন এক্সট্রাক্টস, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক্স এবং ন্যাচারাল এনজাইম যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। এলোভেরা সমৃদ্ধ কোলাজেন ফাইবারে, আবার অন্যদিকে টকদইতে রয়েছে জিঙ্ক যা ত্বকে নতুন কোষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে তা আরো তরুণ দেখাতে সাহায্য করে।

তবে এই সকল ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের আগে আমাদের অবশ্যই নিজেদের ত্বকের টাইপ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মূলত পাঁচ রকমের ত্বকের কথা আমরা সবাই জানি—নর্মাল, ড্ৰাই, অয়েলি,কম্বিনেশন, এবং সেনসিটিভ । জেনেটিক্স অনুযায়ী স্কিন টাইপ খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায়। নিজের ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টোটকার চেয়ে উপযোগী এবং অব্যর্থ আর কিছুই হয়না। তবে ঘরোয়া টোটকা তখনি ফলপ্রসূ হবে যখন সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করা হবে। আপনার ত্বক ঠিক কি ধরনের, তার বিশেষ প্রয়োজন কি কি, ঠিক কোন জিনিসটা লাগালে আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন ইত্যাদি জানতে হবে সবচেয়ে আগে। এছাড়াও, ঘরোয়া সমস্ত টোটকায় এমন কিছু কিছু উপাদান পাওয়া নাও যেতে পারে যা হয়তো আপনার ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। সেক্ষেত্রে টোটকা সমর্থভাবে কাজ নাও করতে পারে বা অনেক দেরি করে ফল দিতে পারে।

এই সমস্ত সমস্যার সহজ সমাধানে রয়েছে কেয়া শেঠ অ্য়ারোমাথেরাপির এজ কন্ট্রোল রেঞ্জ। অ্য়ারোমাথেরাপির এজ কন্ট্রোল রেঞ্জে রয়েছে:

স্যান্ডেলউড এসেনশিয়াল অয়েল: সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে তা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

পেন্টাভিটিন: ১০০ % প্রাকৃতিক উপাদান যা হাইড্রেশন লেভেল মেনটেইন করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন বি২: ত্বকের ইলাস্টিসিটি মেনটেইন করে কোলাজেন লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি৩: বলিরেখা, হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে, ব্রণ এবং ইউভি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ভিটামিন বি৫: ত্বকের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ কমিয়ে ত্বককে রক্ষা করে।

ভিটামিন সি: স্কিন টোন হালকা করে ত্বকের পিগমেন্টেশন নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ই: ফ্রি র‍্যাডিকেল ড্যামেজ থেকে ত্বক রক্ষা করে।

হায়ালুরোনিক অ্যাসিড: ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে তার স্বাস্থ্য পতন রক্ষা করে।

প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলির বৈশিষ্টগুণ ত্বকে কম মেলানিন উৎপাদন, ড্যামেজ এবং ইলাসটোসিস প্রতিরোধ করে। নিয়মিত এই প্রোডাক্টের ব্যবহার ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে উজ্জ্বল এবং তরুণ রাখতে সাহায্য করে।

Beauty Fashion Skin care Damage control Lifestyle Aromatherapy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy