ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে মডেলের। ছবি: শাটারস্টক
কিম কার্দেশিয়ানের মতো দেখতে প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটের অভিনেত্রী ও মডেল ক্রিস্টিনা অ্যাস্টেন গৌরকানি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে মডেলের। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অনুমান একাধিক প্লাস্টিক সার্জারির কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে ক্রিস্টিনার।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছনো মাত্রই দুঃসংবাদ আসে তাঁদের কাছে। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর শরীরে একাধিক বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেই সব অস্ত্রোপচারের ধকল নিতে পারেননি ক্রিস্টিনা। সেই কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। ওজন কমাতেও তিনি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ঠোঁট ও স্তনের আকারও বদল করিয়েছিলেন তিনি।
কেন হল এই পরিণতি?
যে কোনও অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেই আগে থেকে ভাল করে শারীরিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি। রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি করিয়ে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া উচিত। চিকিৎসক যদি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান তা হলে এই অস্ত্রোপচার করিয়ে রোগা হওয়ার সিদ্ধান্তের দিকে এগোনো যেতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও সেটাও বন্ধ করতে হবে। খুব বেশি স্থূলকায় হলে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস আছে কি না, তা-ও জেনে নেওয়া দরকার। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, হৃদ্রোগ, হরমোনজনিত কোনও সমস্যা থাকলে এই ধরনের অস্ত্রোপচার একেবারেই করানো উচিত নয়। তবে কেউ যদি একান্তই এই ধরনের অস্ত্রোপচার করাতে চান তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে আগে আলোচনা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি এবং অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে— দুই ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy