গত জুন মাসে সন্তান আগমনের সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন আলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। খুশির মেজাজ কপূর ও ভট্ট পরিবারে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মুম্বইয়ের এইচএন রিলায়্যান্স হাসপাতালে আলিয়াকে ভর্তি করাতে নিয়ে যান রণবীর কপূর। দুপুর ১ টা নাগাত আসে সুখবর।
গত জুন মাসেই জানা গিয়েছিল রণলিয়ার পরিবারে আসবে নতুন অতিথি। তার পরেও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির প্রচারে রণবীরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে গিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী। কাজের মাঝে থেকেও নিজেকে প্রাকৃতিক প্রসবের জন্য প্রস্তুত করছিলেন আলিয়া।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া বিশেষ ভাবে শরীরের যত্ন নিয়েছেন। বিশ্রাম নিয়েছেন ঠিকই। সেই সঙ্গে সকালে উঠে নিয়মিত যোগাসন, শরীরচর্চাও জারি রেখেছিলেন। প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন নায়িকা। ছুরি-কাঁচির ঝঞ্ঝাটে যেতে চাইছিলেন না। অনেকেই বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি পরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শরীরে। তাই স্বাভাবিক প্রসব চাইছিলেন আলিয়া।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাজ ছাড়া বেশির ভাগ সময়টা বাড়িতেই থেকেছিলেন আলিয়া। কপূর পরিবারের দিওয়ালি উদ্যাপনের পার্টি থেকেও নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। বাড়িতে পুজো করেই হয়েছে অভিনেত্রীর দিওয়ালি উদ্যাপন।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আলিয়ার পোশাকেও এসেছিল বিস্তর ফারাক। আঁটোসাটো পোশাক ছেড়ে ঢিলেঢালা জামা বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
বেশ কিছু বছর ধরে ভেগান খাদ্যাভাস মেনে চলেন আলিয়া। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আলিয়ার যা যা খেতে ইচ্ছা করেছে, শাশুড়ি নীতু কপূর সেই সব খাবারের বন্দোবস্ত করছিলেন। নিজের হাতে লাড্ডু বানিয়ে খায়িয়েছেন বৌমাকে। সুস্থ প্রসবের জন্য আলিয়াকে সব রকম পরামর্শ দিয়েছেন নীতু।
তবে আদৌ কি স্বাভাবিক প্রসব হল আলিয়ার? এখনও কপূর পরিবারের তরফে সেই খবর আসেনি। তবে মা ও মেয়ে দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy