Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Viral Incident

মাঝ আকাশে হঠাৎ বুক ধড়ফড়! চিকিৎসকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যাত্রী

বিমান ছাড়ার পর মাঝ আকাশে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন এক যাত্রী। অক্সিজেনের জোগান কম থাকায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর।

Kochi Doctor saved life of a Passenger in flight.

মাঝ আকাশে স্তব্ধ হৃদ্‌স্পন্দন! ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৪
Share: Save:

বিমানে চড়লে অনেকেরই দমবন্ধ লাগে। কানে তালা লেগে যায়। নির্দিষ্ট একটি উচ্চতায় ওঠার পর বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কারও আবার মাথা ঝিমঝিম করে, রক্তচাপও বাড়তে থাকে। তবে তা সাময়িক। কিছু ক্ষণ পর তা আবার স্বাভাবিকও হয়ে যায়। তবে শারীরিক জটিলতা থাকলে সে বিষয়টা আলাদা। তেমন রোগীদের বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও থাকে। আবার, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, যাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার বিমানকে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।

জানা গিয়েছে, রবিবার আকাশা বিমানসংস্থার ওই বিমানটি কোচি থেকে মুম্বই যাচ্ছিল। বিমান ছাড়ার পর মাঝ আকাশে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন এক যাত্রী। অক্সিজেনের জোগান কম থাকায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই বিমানে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ব্যবস্থা থাকে। বিমানের কর্মীরা বাইরে থেকে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য ‘নেবুলাইজ়ার’ পরানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে ‘নেবুলাইজ়ার’ পরাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। সমস্ত ঘটনাই প্রত্যক্ষ করছিলেন সহযাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে থেকেই দেবদূতের মতো আবির্ভাব হয় এক চিকিৎসকের। অবস্থা বুঝে ওই যাত্রীকে বিমানের আসনে শুইয়ে দেন তিনি। তার পর ‘সিপিআর’ দিতে শুরু করেন। হৃদ্‌স্পন্দন কোনও কারণে সাময়িক ভাবে স্তব্ধ হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতেই আবার সচল করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে এই প্রক্রিয়া কাজ না করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে ওই চিকিৎসক বুঝতে পারেন যে, রোগীর রক্তের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তাই তিনি সুচালো একটি পিনের সাহায্যে অসুস্থ ব্যক্তির হাতের ধমনীতে ফুটো করে দেন। রক্তের চাপ তৎক্ষণাৎ কমিয়ে দেওয়ার প্রচলিত একটি পদ্ধতি এটি।

চিকিৎসকের উপস্থিত বুদ্ধিতে চলন্ত বিমানের মধ্যেই ওই যাত্রীকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে অবতরণ করার পর দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। বিমানকর্মীরা জানান, ওই যাত্রীর আগে থেকেই ফুসফুস এবং কিডনির সমস্যা ছিল। কিডনির কার্যকারিতা সচল রাখতে সপ্তাহে তিন বার ডায়ালিসিসও করাতে হয় তাঁকে। তবে যাত্রীর প্রাণবাঁচানো এবং তৎপরতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ওই বিমানসংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Viral Viral Incident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE