Advertisement
E-Paper

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া, ট্রেকিং, ক্যাম্পিংয়ের মজা একসঙ্গে চান? এমন জায়গা কোথায় আছে?

অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, ট্রেকিংয়ের আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করতে চান? কোথায় গেলে সব আনন্দ একসঙ্গে মিলবে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৩
গরমের শুরুতেই বরং চলুন উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে।

গরমের শুরুতেই বরং চলুন উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে। ছবি: সংগৃহীত।

সদলবলে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা। কিন্তু পছন্দ যে আলাদা। কেউ চান, খরস্রোতা নদীর উথালপাথাল ঢেউয়ে ভেলা ভাসিয়ে র‌্যাফটিং করতে, কারও শখ বাঞ্জি জাম্পিঙের। আর সে সব করা হলে, জমিয়ে আড্ডা। আগুন জ্বালিয়ে হুল্লোড়। হাতে আরও সময় থাকলে হিমালয়ের রূপ দর্শন, তা-ও পায়ে হেঁটে।

কিন্তু এত সব ইচ্ছাপূরণ কি এক জায়গায় সম্ভব? কী ভাবে সেই পরিকল্পনা করবেন?

গরমের শুরুতেই বরং চলুন উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে। অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার জন্য এই স্থানের সুনাম। এখান থেকে হিমালয়ের রূপ-সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায়, ক্যাম্পিং-ও হয় বিভিন্ন জায়গায়। কী কী ভাবে উপভোগ করবেন হৃষীকেশ?

রিভার র‌্যাফটিং

খরস্রোতা গঙ্গাবক্ষে বিশেষ নৌকোয় ঢেউয়ের তালে এই উপরে উঠে যাওয়া, আবার পরক্ষণেই নেমে আসা— এ এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ। রিভার র‌্যাফটিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য হৃষীকেশে ভিড় করেন অনেকেই। যাত্রাপথ কতটা দীর্ঘ, ক্রীড়া কতটা কঠিন—তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্তর।

শিবপুরী থেকে নিম বিচ ১১-১২ কিলোমিটার র‌্যাফটিং করা যায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টায়।

আরও লম্বা নদীপথ চাইলে চলে যেতে পারেন মেরিন ড্রাইভ। এখান থেকে নিম বিচের দূরত্ব ১৬-১৭ কিলোমিটার।

রিভার ব়্যাফটিং-এ বার কয়েকের অভিজ্ঞতা থাকলে কুদালিয়া থেকে নিম বিচ পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার নদী পথ বেছে নিতে পারেন।

বাঞ্জি জাম্পিং

গহিন খাদে ঝাঁপ দিতে চান? সাহস থাকলে বাঞ্জি জাম্পিং করতে পারেন। এই খেলায় অনেক উঁচু থেকে কোমরে দড়ি বেঁধে ঝাঁপ দিতে হয়। উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে বাঞ্জি জাম্পিং হয় ৮৩ ফুট উঁচু থেকে। শিবপুরী, মোহন চট্টি-সহ হৃষীকেশের একাধিক জায়গায় এই অ্যা়ডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ মেলে। তবে হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ঘাড়ে আঘাত, স্নায়বিক সমস্যা থাকলে এই ক্রীড়ায় যোগ দেওয়া যায় না।

ট্রেকিং

নীরগড় ঝর্না যেতে পারেন  ট্রেক করে।

নীরগড় ঝর্না যেতে পারেন ট্রেক করে। ছবি:সংগৃহীত।

হৃষীকেশ থেকে নীরগড় জলপ্রপাত ট্রেক করতে পারেন। হাঁটতে হয় মাত্র ২ কিলোমিটার। তবে সেই দূরত্ব অতিক্রম করা খুব সহজ নয়। রয়েছে পাহাড়ি পথ, চড়াই। নীরগড় ঝর্নার পার্কিং থেকে হাঁটতে হয়। সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা। অনেক ছোট ছোট ঝর্না পার করে সেখানে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। অরণ্যপথ পেরিয়ে সেখানে গিয়ে ঝর্নার জলে স্নান সেরে নিতে পারেন।

রাজাজি জাতীয় উদ্যান

হৃষীকেশে গিয়ে অরণ্যের সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণ দেখতে চাইলে তালিকায় রাখুন রাজাজি জাতীয় উদ্যান। হরিদ্বার, দেহরাদূন এবং পৌড়ী গঢ়ওয়াল—তিন জেলা জুড়ে এর বিস্তৃতি। রয়েছে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পও। অরণ্যে সাফারি করা যায় চিল্লা, মোতিচুর, রানিপুর রেঞ্জ থেকে। হরিণ, হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি-সহ নানা রকম বন্যপ্রাণের দেখা মেলে এখানে। সকাল এবং দুপুর—দুই বেলা সাফারি হয়।

ক্যাম্প

হৃষীকেশ থেকে শিবপুরী পর্যন্ত গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্যাম্প রয়েছে। তাঁবুতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। হাতের কাছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগও মেলে। মূলত শহুরে কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে বন্ধুবান্ধব মিলে সময় কাটানো এবং আড্ডা দেওয়ার জন্য ক্যাম্প বেছে নিতে পারেন। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এখানেই রয়েছে।

tourism Tourist Spots RIver rafting Bungee Jumping trekking Adventure Sports
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy