মানসিক হাসপাতাল কেমন চলছে, খোঁজ নিতে পুরুলিয়ায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ দফতরের কর্তারা। কিন্তু রাঢ়বঙ্গের এই হাসপাতাল যে রোগী থাকলেও চিকিৎসকের অভাব, মেশিন থাকলেও যে চালানোর লোক নেই, তা দেখেই তাঁদের ফিরতে হল। তবে তাঁদের পরিদর্শনের মাঝে, শিকলে বাঁধা এক রোগীকে ভর্তি করা হয়। রোগীর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, এতদিন বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হলেও এ দিন তাঁকে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসকের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট দেশের মানসিক হাসপাতালগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট চেয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন চলছে। পুরুলিয়ায় বৃহস্পতিবার হাল দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ধরিত্রী পান্ডা, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, কমিটির সদস্য রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব অভিজিৎ সোম, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য সচিব লিংডো এবং দুই চিকিৎসক প্রদীপ সাহা ও দিব্যেন্দুগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষও।
এ দিন সকালে মহিলা সংশোধনাগারের পাশে মানসিক হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে বহির্বিভাগে যান ধরিত্রীদেবী। ফার্মাসি বিভাগে গিয়ে তিনি রোগীদের ওষুধপত্র খুঁটিয়ে দেখেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁর নজরে পড়ে যায় একটা টেবিলের উপরে ছেঁড়া গদি পাতা রয়েছে। ধরিত্রীদেবী জানতে চান টেবিল কেন রাখা রয়েছে। মানসিক হাসপাতালের সুপার রঞ্জিতকুমার কর বলেন, ‘‘এখানে রোগীরা বসেন।’’ কিন্তু টেবিলের অবস্থা এমন কেন, ধরিত্রীদেবী জানতে চান। বিশ্বরঞ্জনবাবু প্রশ্ন তোলেন, ‘‘রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে এটা সারানো হয়নি কেন?’’