Advertisement
E-Paper

বৃষ্টি শুরু হতেই ডুয়ার্সে প্রকোপ ম্যালেরিয়ার

বর্ষা শুরু হতে না হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ শুরু হয়ে গেল ডুয়ার্সে। পানবাড়ি, গদাধর, শিবকাটা এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। রক্ত পরীক্ষায় গত দু’দিনে এদের মধ্যে ৮০ জনের দেহে ম্যলেরিয়ার জীবাণু প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স পাওয়া গিয়েছে।

নারায়ণ দে

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৫ ০১:৫৬
গদাধর এলাকায় চলছে রক্তপরীক্ষার শিবির। —নিজস্ব চিত্র।

গদাধর এলাকায় চলছে রক্তপরীক্ষার শিবির। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষা শুরু হতে না হতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ শুরু হয়ে গেল ডুয়ার্সে। পানবাড়ি, গদাধর, শিবকাটা এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। রক্ত পরীক্ষায় গত দু’দিনে এদের মধ্যে ৮০ জনের দেহে ম্যলেরিয়ার জীবাণু প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স পাওয়া গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে রক্ত পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।

ম্যালেরিয়া রুখতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া এ সব জনবসতিতে প্রচার শুরু করেছে রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে এক বাসিন্দার রক্তের নমুনায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়ে। তার পরেই গত তিন দিন ধরে এলাকায় রক্ত পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, “চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন।”

শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল সাইকেলে স্ত্রী শর্মিলা টোপ্পোকে চাপিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দা ঈশ্বর টোপ্পো। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধ্যা নামলেই স্ত্রীর জ্বর আসছে। তাই সকালে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছি।’’ ধানের চারা পোঁতার ফাঁকে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন উত্তাল টোপ্পো। তিনিও জানান, সন্ধে নামলেই জ্বর আসছে তাঁর।

এ দিন এলাকায় ১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রাম রক্ত পরীক্ষার কাজ করেন। খেতের কাজ ছেড়ে অনেকেই এ দিন তাঁদের কাছে আসেন রক্ত পরীক্ষা করাতে। মীনা তিরকে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে আসেন রক্ত পরীক্ষা করাতে। জানান কয়েক দিন ধরে জ্বর আসছে।

এলাকায় ছয় নম্বর বস্তিতে আড়াই বছরের অঞ্জু টিগ্গা ও সাড়ে ছ’বছরের প্রীতম টিগ্গার রক্তে দু’দিন আগে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। এ দিন রক্ত পরীক্ষা করে এই রোগের জীবাণু মেলে ১৩ বছরের মেনকা হেমব্রম, ৭ বছরের সোনালি মারান্ডি-সহ বেশ কয়েক জনের শরীরে। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, এই ম্যালেরিয়ার ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে তার থেকে জন্ডিস হতে পারে।

রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান রিনা লামা ও এলাকার তৃণমূল নেতা অ্যালবার্ট সাংমাকে দেখা যায়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জ্বর হয়েছে কি না তার খোঁজ নিতে। রিনা লামা বলেন, “এলাকায় মশারি টাঙিয়ে শুতে বলা হচ্ছে। জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।’’

রাজাভাতখাওয়া এলাকার আরএসপি নেতা গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য বলেন, “কালচিনি ব্লক বরাবরই ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকা। স্বাস্থ্য দফতরের উচিত ছিল বর্ষার শুরুতেই এলাকায় ডিডিটি স্প্রে করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা। দীর্ঘ দিন ধরে কোনও কাজ হয় না। ম্যালেরিয়া প্রকোপ ছড়ানোর পর এখন কাজে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর।”

rajabhatkawa narayan de doors malaria monsoon malaria doors monsoon malaria malaria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy