শিসের গ্রাম কোংথোং ছবি: ফেসবুক
ঢালু পাহাড়ি পথ বেয়ে উঠতে উঠতে হয়তো কানে এল লম্বা শিসের আওয়াজ। আপনি ভাবলেন, কেউ হয়তো মনের আনন্দে শিস দিচ্ছেন। আসলে তিনি হয়তো প্রতিবেশীর নাম ধরে ডাকছেন গল্প করার জন্য।
এমনই ঘটে মেঘালয়ের কোংথোং গ্রামে। প্রত্যেকেরই খাতায়-কলমে নামের পাশাপাশি শিসের শব্দে একটি নাম আছে। প্রত্যেক মায়ের দায়িত্ব সন্তানের জন্মের পরেই তার জন্য একেবারে আলাদা একটি শিসধ্বনি তৈরি করা। এমন একটি ধ্বনি, যা ওই গ্রামে কারও নেই। আর সেই ধ্বনিই হবে তাঁর নাম। স্থানীয় নাম। বহির্বিশ্বের জন্য অবশ্য আলাদা করে নামকরণের ব্যবস্থা রয়েছে এই গ্রামে।
এই বিরল এবং অভিনব সংস্কৃতির জন্যই মেঘালয়ের গ্রামটি সম্প্রতি উঠে এসেছে পৃথিবীর পর্যটন মানচিত্রে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা হালে নেটমাধ্যমে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘মেঘালয়ের শিস-গ্রাম কোংথোং ইউএনডাব্লিউটিও (ওয়ার্ল্ড টুরিজম অরগানাইজেশন)-এর ‘বেড়ানোর সেরা গ্রাম’-এর তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ভারতের আরও দু’টি গ্রামও নির্বাচিতের তালিকায় রয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানার পোচামপল্লি, আর মধ্যপ্রদেশের লাধপুরা খাস নামের গ্রাম দু’টিও কোংথোং-এর পাশাপাশি এই তালিকার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
শিসের নামকরণ বা শিসের মাধ্যমে কথা বলার সংস্কৃতি পৃথিবীর নানা দেশেই রয়েছে। তুরস্ক বা ক্যানারি দ্বীপের বিভিন্ন জায়গার এই সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে। মেঘালয়ের কোংথোং-এর এই স্বীকৃতিও বাকিদের মতোই এই গ্রামটিকেও উজ্জ্বল করে তুলল পর্যটনের মানচিত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy