বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, ২০০৮ সালে পৃথিবীতে ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছিল ৭৬ লক্ষ মানুষের। যা মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ। ২০৩০ সালে ক্যানসারের কারণে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াবে ১ কোটি ৩১ লক্ষে। চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নতি সত্ত্বেও এই সংখ্যা বৃদ্ধি প্রশ্ন তুলছে, ক্যানসারে লাগাম টানতে কোনটা আগে জরুরি— চিকিৎসার বিপুল খরচের বোঝা কমানোর ভাবনা, না কি রোগের প্রাথমিক নির্ণয়?
রবিবার বেঙ্গল অঙ্কোলজি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনায় উঠে এল এই বিষয়টিই। চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় ও কৌশিক ঘোষের পাশাপাশি আলোচনায় যোগ দেন বিনোদন জগতের কল্যাণ সেন বরাট, ঋতা দত্ত চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, সোনালি চৌধুরী। তাঁদের প্রত্যেকের কথায় উঠে এল ক্যানসারের চিকিৎসার বিপুল খরচের বিষয়টি।
বহু সময়েই ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় দীর্ঘদিন খরচ বহন করা অসম্ভব হয় পরিজনেদের পক্ষে। অনেকেই যন্ত্রণা উপশমে বিকল্প চিকিৎসার দ্বারস্থ হন। চিকিৎসকদের মতে, তাতে রোগের প্রকোপ বাড়ে। যদিও সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, শহরের কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসা হচ্ছে। আগের থেকে তা আধুনিকও, তবে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। ফলে পরিষেবার প্রতীক্ষায় থাকা রোগীর লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকা অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়। এই সব কারণে আতঙ্কিত পরিবার শেষ সঞ্চয়টুকু খরচ করেও বেসরকারি হাসপাতালেরই শরণাপন্ন হয়ে থাকে। অথবা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়।