Advertisement
E-Paper

রাতভর ভেজানো ঠান্ডা ওট্‌স না কি রান্না করা, কোনটি খেলে ভাল? এতে কি পুষ্টিগুণে তফাত হয়?

কেউ সারা রাত ওট্‌স ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে সকালে ঠান্ডা ওট্‌স খান। কেউ আবার দুধ দিয়ে অথবা ডাল, সব্জি দিয়ে রান্না করে খান। কোন ধরনের ওট্‌স খাওয়া ভাল?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৪:২৩
ভিজিয়ে রাখা না রান্না করা, কোন ওট্স খাবেন?

ভিজিয়ে রাখা না রান্না করা, কোন ওট্স খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

চিরপরিচিত রুটি-তরকারি, দুধ-মুড়ি, কলা-পাউরুটির বদলে বহু বাঙালিই এখন প্রাতরাশ সারেন ওট্‌স দিয়ে। ঘরে ঘরে বাড়ছে সুগারের রোগী। পুষ্টিবিদেরাও পরামর্শ দিচ্ছেন, ওট্‌সের মতো ফাইবার যুক্ত খাবার পাতে রাখার।

কেউ ওট্স খান স্মুদি হিসাবে, কেউ আবার ওট্‌সের সঙ্গে ডাল, সব্জি, মাংস মিশিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে নেন। বিদেশে আবার রাতভর ওট্স‌ দুধ অথবা জলে ভিজিয়ে রকমারি ফল, বাদাম যোগ করে খাওয়ার চল আছে।

রাতভর ওট্স ভিজিয়ে সকালে ঠান্ডা ওট্স খেতে গরমকালে ভাল লাগবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু রান্না করা ওট্স আর এতে কি পুষ্টিগুণ একই?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুই ধরনের ওট্সই খাওয়া চলে। তবে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে বা পুষ্টিগুণ শোষণের প্রশ্ন আসলে রাতভর ভিজিয়ে রাখা ওট্সই এগিয়ে থাকবে।

পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘ওট্স সাধারণত দুধ, জল অথবা দইয়ে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকে। গরমের সময় ঠান্ডা ওট্স শুধু খেতেই যে ভাল লাগে তা নয়, হজমেও তুলনামূলক সহায়ক হয়।’’

ফাইটিক অ্যাসিড: রাতভর ওট্স ভিজিয়ে রাখলে এতে ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। ফাইটিক অ্যাসিড আয়রন, জ়িঙ্কের মতো খনিজ শোষণে বাধা দেয়। দীর্ঘ ক্ষণ ওট্স ভিজিয়ে রাখার ফলে প্রথমত পুষ্টিগুণ বেশি পায় শরীর। দ্বিতীয়ত, এতে থাকা স্টার্চ ভেঙে যায়, ফলে খাবার হজমেও সহায়ক হয়। রান্না করা ওট‌্‌সে ফাইটিক অ্যাসিড তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। তাই এটি হজমে বাড়তি সময় লাগে।

ক্যালোরি: ওট্‌সের সঙ্গে কী মেশানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে তার ক্যালোরির পরিমাণ, কত ক্ষণ এতে পেট ভরা থাকবে। দুধ বা দইয়ে ভেজানো ওট্‌সে বাদাম, ফল মিশিয়ে খাওয়া হয়। তবে রান্না করা ওট্‌সে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ডাল মেশানো হয়, সব্জি, মাংসও যোগ করেন কেউ কেউ। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যত বেশি উপকরণ এতে যোগ করা হবে, ততই বাড়বে ক্যালোরির পরিমাণ।

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: রাতভর ভেজানো ওট্‌সে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক কম থাকে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল শর্করা মাপার সূচক। ফলে ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে দুধে বা জলে ভিজিয়ে রাখা ওট্‌স খাওয়া তুলনামূলক ভাবে ভাল।

শম্পা বলছেন, ‘‘ওট্স‌ দু’ভাবেই খাওয়া যায়। কেউ ঝাল ভালবাসেন, কেউ দুধ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার ভিজিয়ে রাখা ওট্‌সের চেয়ে রান্না করা ওট্স‌ বেশি নরম হয়। স্বাদের দিক দিয়েও তা বেশি ভাল লাগে। হজমে সমস্যা থাকলে ভিজিয়ে রাখা ওট্স‌ খান। আর সেই সমস্যা না থাকলে যে কোনও ভাবেই তা খাওয়া যায়।’’

এ ছাড়াও গরমে ঠান্ডা ওট্‌স ভাল লাগলেও, শীতে তা লাগবে না। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত, তাঁদের ক্ষেত্রে ভেজানো ওট্স খেলেও তা খুব ঠান্ডা করে না খাওয়াই ভাল।

Oats
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy