Advertisement
E-Paper

গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর নালিশ, ক্ষোভ হাসপাতালে

চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হল দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে মৃতদেহ রেখে হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনেরা। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২৭
দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হল দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে মৃতদেহ রেখে হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনেরা। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে জ্বর ও অন্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মামরা বাজার উত্তরপল্লি এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী চক্রবর্তী (২৯)। তাঁর বাবা দুলালবাবু অভিযোগ করেন, দুপুরের পরে পরিস্থিতির অবনতি হয়। অভিযোগ, ‘রেফার’ করানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেননি। বিকেলের দিকে রোগীর হাল আরও খারাপ হয় বলে জানান দুলালবাবু। সন্ধ্যায় তাঁরা রোগীকে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৌসুমীদেবীর মৃত্যু হয়। এর পরেই অ্যাম্বুল্যান্সের মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইএসআই হাসপাতালে। রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বরখাস্ত করার দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় পরিস্থিতি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আয়ত্তে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ থামে।

তদন্তের দাবি জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরে মৃতার বাবা দুলালবাবু বলেন, ‘চিকিৎসার গাফিলতিতে আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। এর বিহিত চাই। আর কারও যাতে এত বড় ক্ষতি না হয় তা যেন নিশ্চিত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’’ তাঁর আরও দাবি, সময়ে রেফার করা হলে তাঁর মেয়ের মৃত্যু হত না। তাঁর কথায়, ‘‘অযথা সময় নষ্ট করার জন্যই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল। কী রোগ হয়েছে তা ঠিক ভাবে শনাক্ত করাই হয়নি।’’ হাসপাতাল সুপার শোভন পাণ্ডার মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হবে।

Durgapur police Durgapur hospital Mousumi Chakraborty police station vandalism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy