আমিও...! ‘মি টু’! টুইটার থেকে ফেসবুকের দেওয়াল ভরে গিয়েছে মাত্র এই দু’টি শব্দে। শব্দ দু’টি বুঝিয়ে দিচ্ছে, সারা বিশ্বে কত মহিলা এবং পুরুষ তাঁদের জীবনে কখনও না কখনও ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্থার যন্ত্রণার পাহাড় বয়ে চলেন।
কিছু দিন ধরে শিরোনামে আসছিল হলিউডের নামী প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টেইনের কেলেঙ্কারির কথা। ৬৪ বছরের প্রৌঢ় লোকটি হলিউডে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন মহিলাকে যৌন হেনস্থা করে এসেছেন। এত দিন কেউ সে ভাবে মুখ খোলেননি। কিন্তু এক জন বলার পরে খুলে গিয়েছে প্যান্ডোরার বাক্স। নামী তারকা থেকে হার্ভির প্রযোজনা সংস্থায় কর্মরত মহিলা— একযোগে বলছেন, কোথায় কী ভাবে হার্ভির লালসার শিকার হয়েছেন তাঁরা। উঠছে ধর্ষণের অভিযোগও। অভিযোগের তোড়ে বাফটা, অস্কারের মতো ঐতিহ্যবাহী সংস্থার সদস্যপদ হারিয়েছেন হার্ভি। নিজের সংস্থাও তাঁকে ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করেনি। ছেড়ে গিয়েছেন স্ত্রী-ও।
এই ঘটনাপ্রবাহের সূত্রে রবিবার রাতে মার্কিন অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানোই প্রথম টুইটারে ছড়িয়ে দেন শব্দ দু’টো— ‘মি টু’! তিনি এক বন্ধুর কাছে জেনে টুইটারে লেখেন, ‘‘যে সব মহিলা যৌন হেনস্থা বা নির্যাতনের শিকার, তাঁরা সবাই যদি স্ট্যাটাসে ‘মি টু’ লেখেন, তা হলে বোঝা যাবে সমস্যাটার শিকড় কত গভীরে।’’ তার পর হ্যাশট্যাগে ‘#মি টু’ (আমিও) ছড়াতে থাকে। রবিবার অ্যালিসার টুইটের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অগুনতি মহিলা সরব হন। পুরুষরাও যৌন নিগ্রহের কথা বলেছেন অকপটে। সোমবার ভোর হতে হতেই টুইটারে ‘#মি টু’ ছুঁয়ে যায় দু’লক্ষ পোস্ট। ফেসবুকে সংখ্যাটা তখন ৮০ হাজার।