Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪
Deepfake Video

রশ্মিকার ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুললেন আসল মহিলা, ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো চিনবেন কী করে?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ‘ডিপফেক’ ভিডিয়োর সমাজমাধ্যমে এই মুহূর্তে রমরমা। রশ্মিকা মন্দনার ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই চর্চা শুরু নেটমাধ্যম জুড়ে। কোনও ভিডিয়ো শেয়ার করার আগে কী ভাবে বুঝবেন, সেটি আসল কি না?

Rashmika Mandanna’s Deepfake video is going viral, how to identify fake videos easily.

ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন রশ্মিকা মন্দনা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯
Share: Save:

কালো জিম-পোশাকে অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো ঘিরে গত দু’দিন ধরে নেটমাধ্যমে তুমুল চর্চা চলছে। খোলামেলা পোশাকে অভিনেত্রীর সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের সন্দেহ হয়, এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে। অনুরাগীদের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হল শেষমেশ। জানতে পারা গেল, এই ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন। জ়ারা পটেল নামে এক ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সারের ভিডিয়োয় কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন রশ্মিকা। সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে তিনি আতঙ্কিত। অভিনেত্রীর পর এ বার মুখ খুললেন সেই ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সার।

নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে অনুরাগীদের উদ্দেশে বেশ কিছু কথা লিখেছেন জ়ারা। ইনফ্লুয়েন্সার লেখেন, "কেউ আমার শরীর আর জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে একটি ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো বানিয়েছেন। এই ভিডিয়োর সঙ্গে আমার কোনও রকম সম্পর্ক নেই। এই ঘটনায় আমি খুবই বিরক্ত। মহিলা ও তরুণীরা সমাজমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও ভিডিয়ো দিতে এখন আরও ভয় পাবেন। ইন্টারনেটে যা দেখছেন, তা সত্য কি না আগে তা যাচাই করুন তার পর শেয়ার করুন। ইন্টারনেটে যা ঘুরছে, তার সবটা সত্য নয়।"

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি এই ধরনের ভিডিয়োর রমরমা সমাজমাধ্যমে বেড়েছে। ‘ডিপ লার্নিং টেকনোলজি’ ব্যবহার করে অডিয়ো, ভিডিয়ো ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না। ইন্টারনেটে কিছু দেখে আমরা তা আদৌ সত্যি কি না তা যাচাই না করেই শেয়ার করে দিই। অথচ নকল বা অসত্য কোনও ভিডিয়ো শেয়ার করলে ভবিষ্যতে আপনি আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। জেনে নিন, কী ভাবে বুঝবেন কোনটা ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো।

চাহনি দেখে

‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো খুব ভাল করে লক্ষ করলে বোঝা যায় যে, ব্যক্তির চাহনিতে অসঙ্গতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজ করার সঙ্গে চাহনির সাযুজ্য খুঁজে পাবেন না।

চাহনি দেখে

‘ডিপফেক’ নির্মাতাদের ভিডিয়োয় সঠিক রঙের টোন এবং আলোর প্রতিলিপি তৈরি করতে বেশ অসুবিধা হয়। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব দেখলে সতর্ক হোন।

অডিয়োর মান যাচাই

‘ডিপফেক’ ভিডিয়োতে এআই জেনারেটেড অডিয়ো ব্যবহার করা করা হয়। তাই কোনও ভিডিয়ো নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিয়োর অডিয়োর মান যাচাই করলেই সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

শরীরে গঠন ও চলাফেরা

‘ডিপফেক’ ভিডিয়োয় ব্যক্তির শরীরের গঠন অনেক সময় বিগড়ে যায়। হাত-পা লম্বা দেখায়, মুখের আদল খানিকটা বদলে যায়, ব্যক্তি হাঁটাচলা করলেও দেখতে বিকৃত লাগে।

মুখের ভঙ্গি

এই ধরনের ভিডিয়োতে ব্যক্তি কথা বললে তাঁর বলা ও মুখভঙ্গির মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা লক্ষ করা যায়। খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলেই ফারাকটা নজরে আসে।

অন্য বিষয়গুলি:

Social Media Deepfake Video Rashmika Mandanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE