পোষ্যকে নিয়ে দিনভর খেলাধুলো, আদর করা, আহ্লাদ দেওয়া সবই চলছে। তবে উৎসবের মরসুমে তার দেখভালে কোনও ফাঁক থাকছে না তো! পশুরোগ চিকিৎসকেরা বলেন, অনেকসময় গুরুত্ব না বুঝেই ছোট ছোট বিষয় এড়িয়ে যান পোষ্যের অভিভাবকেরা। অথচ সারমেয় হোক বা মার্জার— তাদের ভাল থাকার জন্য এমন অনেক বিষয়ই জরুরি।
ওজন: চারপেয়ে সদস্য যতক্ষণ খেতে চাইছে খাইয়ে যাচ্ছেন। উৎসবের মরসুমে তার বরাদ্দ খাবার ছাড়াও, আদর করে ফল, চকোলেট-এইসব খাইয়ে দিচ্ছেন কি? মনে রাখা দরকার পোষ্যের খাদ্যতালিকা আর মানুষের খাবারের তালিকা অনেকটাই আলাদা। কিছু ফল উপকারী হলেও, সমস্ত ফল তার উপযুক্ত নয়। তা ছাড়া, চকোলেট, কেক দেখলে পোষ্য খেতে চাইলেও তা ওর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ল্যাব্রাডর-সহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির সারমেয়র ওজন বৃদ্ধির ধাত থাকে। যা দেওয়া হয় সবটাই খেয়ে নেয় পোষ্যরা। তাই অভিভাবককেই পরিমাণের ব্যাপারে রাশ টানতে হবে। বিশেষত পোষ্যকে হাঁটানো বা শারীরিক কসরত করানোর সুযোগ না থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় আরও বেশি রাশ টানা দরকার। বাড়তি ওজন পোষ্যের নানা রকম সমস্যার কারণ হতে পারে।
আর্থ্রাইটিস: বাতের ব্যথায় মানুষের মতো কাবু হতে পারে পোষ্যেরা। বিশেষত বয়স বাড়লে কুকুরদের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে তাদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়। পোষ্যের ভাষা, কষ্ট বোঝার জন্য তাদের পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। যদি মনে হয়, হাঁটতে বা উঠতে-বসতে পোষ্যের কষ্ট হচ্ছে, আচরণে বদল হচ্ছে, তাহলে দেরি না করে পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুরুতেই আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা করানো হলে, সমস্যা বেশি বাড়তে পারবে না।
রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা: পোষ্য সুস্থ আছে দেখে আলাদা করে পশুরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান না প্রায় কেউই। কিন্তু তাদেরও রুটিন চেকআপ বা বছরে একবার খুঁটিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি। পোষ্য তার সমস্যার কথা বলে বোঝাতে পারবে না। শরীরের কোথাও কিছু অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে কি না, তা চিকিৎসকই অভিজ্ঞ চোখে বুঝতে পারবেন। প্রয়োজন মতো তিনি রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। অসুখ শুরুতেই ধরা পড়লে, সেরে ওঠার সুযোগও বেশি থাকে।