বছরখানেক আগে ইনস্টাগ্রামে মোনার সঙ্গে রোশন মণ্ডল নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। প্রতীকী ছবি।
প্রেমের টানে বিহার থেকে ভাগলপুর পাড়ি দিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু পরিণতি পেল না ভালবাসা। পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই তরুণীর বাড়ির লোকের হাতে তাঁকে তুলে দিল প্রেমিকের পরিবার। মোনা নামে ওই তরুণী বিবাহিতা। ৯ মাসের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁর। মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই ঘর ছাড়েন। এত ঝুঁকি নিয়ে হল না শেষরক্ষা। স্বামীর হাত ধরেই ফিরতে হল ঘরে।
বছরখানেক আগে ইনস্টাগ্রামে মোনার সঙ্গে রোশন মণ্ডল নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। প্রথম দিকে মোনা তেমন কথা বলতেন না। ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হতে থাকে। সারা দিনই প্রায় রোশনের সঙ্গে গল্পে মশগুল থাকতেন মোনা। মোবাইল নম্বরেরও আদানপ্রদান হয়। ফোনেও কথা হত দু’জনের। একটা সময় পর দু’জনেই বুঝতে পারেন, তাঁরা পরস্পরের প্রেমে পড়েছেন।
রোশনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে গেলে মোনার স্বামী তাঁকে মারধরও করেন। তার পরেই মোনা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। একরত্তি মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই বিহার থেকে ভাগলপুরের ট্রেনে চড়ে বসেন। কিন্তু রোশনের ঠিকানা মোনার কাছে ছিল না। মোনা প্রথমে ভাগলপুর থানায় যান। সেখান থেকে রোশনের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে সেখানে পৌঁছান। রোশন জানতেন না মোনা আসছেন। ফলে মোনাকে দেখে চমকে ওঠেন তিনি। নিজের বাড়ির লোকজনকে মোনার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের কথা জানান। কিন্তু বেঁকে বসেন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা কিছুতেই মোনাকে মেনে নিতে নারাজ। জোর করে মোনাকে ভাগলপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর যায় মোনার স্বামীর কাছেও। তিনি এসে মোনাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy