দীপাবলির আগে ডালিয়ার হাত ধরে বাড়ি ফিরলেন গোলাম। ছবি: মহম্মদ শরীফুল ইসলামের ফেসবুক থেকে।
বেশ কয়েক বছর আগে টাকা রোজগারের আশায় মিশরে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের যুবক গোলাম সারোয়ার। ২৬ বছর বয়সি ওই যুবক কাজও খুঁজে নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর অন্য একটি প্রাপ্তিও হয়েছিল। মিশরে গিয়ে গোলামের সঙ্গে আলাপ হয় ডালিয়া নামক এক তরুণীর। ক্রমশ সে আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। সেখান থেকে প্রেমের শুরু। পরস্পরের মনের খবর জানতে পেরে আর দেরি করেননি, ২০২০ সালেই বিয়ে করেন দু’জনে। বিয়ের পর আর বিভিন্ন কারণে দেশে ফেরা হয়নি। দীপাবলির আগে ডালিয়ার হাত ধরে বাড়ি ফিরলেন গোলাম। বাড়ি ফেরার পর থেকে প্রতিবেশীরা ভিড় করছেন বিদেশিনি বউমাকে দেখতে।
সূত্রের খবর, মিশরে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন গোলাম। সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন তিনি। পাশেই একটি বাড়িতে থাকতেন ডালিয়া। ওই তরুণীর ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন গোলাম। সেই সূত্রেই ডালিয়ার সঙ্গে আলাপ তাঁর। ডালিয়া বেশ সুন্দরী। প্রথম দেখাতে ডালিয়ার প্রেমে পড়ে যান গোলাম। ডালিয়াও মনে মনে গোলামকে পছন্দ করতেন। কিছু দিন মেলামেশার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। তবে বেঁকে বসেন ডালিয়ার বাড়ির লোকজন। মা-বাবাকে বোঝানোর দায়িত্ব নেন ডালিয়া। সকলের অনুমতিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দু’জনে। এর পর বছর দুয়েক আগে জানুয়ারি মাসে মিশরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। কোভিডের প্রকোপ শুরু হয়। লকডাউনের কারণে ডালিয়াকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেননি গোলাম। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে বাড়ি ফিরেছেন দু’জনে।
নতুন বউমাকে পেয়ে আপ্লুত গোলামের বাড়ির লোকজন। বিদেশি বউমাকে নিয়ে মনে মনে আগেই আশঙ্কার মেঘ জমেছিল। তবে ডালিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তা কেটে গিয়েছে। ডালিয়া শ্বশুরবাড়ির সকলকে আপন করে নিয়েছেন। পরস্পরের ভাষা বুঝতে একটু সমস্যা হচ্ছে। গোলাম যে হেতু সে দেশের ভাষা জানেন, তাই তিনিই দোভাষীর ভূমিকা নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy