বিড়াল না কুকুর, পোষা হবে কোনটি তা নিয়ে হুলস্থূল। ছেলে চায় ছোট্ট ল্যাব্রাডর ছানা। অন্য দিকে, গিন্নির আবার কুকুরে বেজায় আপত্তি। তাঁর পছন্দ মার্জার শাবক। শুধু কার কী পছন্দ সেটাই কি গুরুত্বপূর্ণ? পোষ্য ঘরে আনার আগে নিজস্ব জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গে কুকুর বা বিড়াল কোনটি মানানসই হবে, বুঝে নেওয়া দরকার। কুকুর এবং বিড়ালের আচরণ, স্বভাব ভিন্ন। তাদের ভাল থাকা নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশ এবং বাসিন্দাদের উপর।
জায়গা: পোষ্য বাড়িতে আনা মানেই একজন সদস্য বেড়ে যাওয়া। তার জন্যও উপযুক্ত স্থান দরকার। সারমেয়র প্রজাতির উপরে জায়গার বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করে। এমন অনেক কুকুর আছে, যারা আকার এবং আয়তনে বেশ বড় হয়। তাদের জন্য একটু খোলামেলা বাড়ি হলেই ভাল। আবার যে ধরনের প্রজাতির কুকুর আকারে ছোট হয় তার জন্য খুব বড় বা়ড়ি বা ফ্ল্যাট না হলেও চলে। তবে সারমেয়দের ক্ষেত্রে জরুরি খোলা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া বা হাঁটাহাটির ব্যবস্থা করা। সেই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। অন্য দিকে, বিড়াল তুলনামূলক ছোট জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে।
আরও পড়ুন:
২. প্রাতর্ভ্রমণ অথবা সান্ধ্যভ্রমণ, শরীরচর্চায় যদি অভ্যস্ত হন, তা হলে সারমেয় হতে পারে সঙ্গী। কুকুরের সুস্থ থাকার জন্য হাঁটাহাটি শরীরচর্চার বিশেষ প্রয়োজন হয়। অন্য দিকে, বিড়াল একটু স্বাধীন ভাবে থাকতে পছন্দ করে। তবে বিড়ালের শরীরচর্চার জন্যও নানা খেলনা পাওয়া যায়।
৩. সারমেয় হোক বা মার্জার, দু’ধরনের পোষ্যই চায় মনিবের আদর, যত্ন, মনোযোগ। তবে বিড়াল যে হেতু নিজের মতো থাকতে, ঘুমোতে, খেতে পছন্দ করে, তাই ব্যস্ততা বেশি থাকলে সারমেয়র চেয়ে বিড়াল বেছে নেওয়াই ভাল।
৪. খরচের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সারমেয়র জন্য অনেকেই প্রশিক্ষক নিয়োগ করেন। তা ছাড়া চিকিৎসা, টিকাকরণ, খাওয়া— সব কিছু মিলিয়ে খরচ নেহাত কম নয়। বিশেষ বিশেষ প্রজাতির সারমেয়র জন্য খরচ-খরচাও বেশি। অন্য দিকে, বিড়ালের ক্ষেত্রেও চিকিৎসার খরচ প্রযোজ্য। তবে অন্যান্য সব কিছু আয়ত্তের মধ্যেই রাখা যায়।
তবে কুকুর ও বিড়াল, উভয়েই সহাবস্থানে রয়েছে— এমন উদাহরণও কম নেই। তাই সারমেয় পুষলে মার্জার পোষা যাবে না অথবা ভাইসি ভার্সা, এমন কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই।