সন্তানকে বড় করার ঝক্কি সামলাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনের মধ্যে তৃতীয় প্রাণ আসার খবরে মনে রয়ে যায় সুখের চোরাস্রোত। অপেক্ষা থাকে, কবে আসবে সে পৃথিবীতে?
চোখের নিমেষে কেটে যায় ন’টা মাস। ভূমিষ্ঠ হয় খুদে। তার পর সেই একরত্তিকে নিয়ে কতই না ব্যস্ততা, ভয়। এই বুঝি লেগে গেল, এই পড়ে গেল। সন্তানের বড় হওয়ার প্রতি ধাপে বাবা-মায়ের সুখের অনুভূতি যতটা, ততটাই থাকে চিন্তা-ভাবনা। তাকে ধীরে ধীরে সব কিছু শেখানো, ভাল ভাবে বড় করে তোলা। যদিও প্রত্যেকের জীবনে সমান পরিস্থিতি থাকে না। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু বিষয় হয়ে ওঠে বেশি কঠিন।
সদ্যোজাতের যত্ন
এই কাঁদছে সে, এই ঘুমোচ্ছে। ভিজিয়ে ফেলছে বিছানা। বার বার তাকে খাওয়ানো, ন্যাপি বদলানো, কাঁদলে ভোলানো, ঘুম পাড়ানো অভিভাবকের জীবনে একটা নতুন রুটিনের মতো। সদ্যোজাতের যত্ন করতে গিয়ে ঘুম, বিশ্রাম সবই বাদ পড়ে যায়। যা অভিভাবকের কাছে কঠিন হয়ে ওঠে। এই সময়ে নিজেদের রুটিন বদলে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। ধৈর্য দরকার হয়।
স্কুলে ভর্তির পর্ব
দেখতে দেখতেই বছর ঘুরে যায়। তিন বছরের কম বয়স থেকেই এখন শিশুদের ‘প্রি-স্কুলে’ পাঠানো হয়। এই সময় ধীরে ধীরে বাইরের লোকজনের সঙ্গে পরিচিত হয় খুদে। অন্য শিশুদের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে শেখে। বাবা-মাকে ছাড়া বেশ কিছুটা সময় সে থাকতে শেখে। এই সময়টিতে কিন্তু খুদেকে অনেক কিছু শেখাতে হয় বাবা ও মায়ের। যেটা কম কঠিন নয়। তবে বেশি বকুনি না দিয়ে খুদেকে তার মতো করে বোঝাতে হবে। খাবার ফেলে ছড়ালেও ধৈর্য ধরতে হবে, যাতে সে একটু করে নিজে খেতে শেখে।
স্কুল
খুদে আরও একটু বড় হয়ে যখন স্কুলে যায়, তখন শুরু হয় তার পড়াশোনা দেখা, আচরণ শেখানো। কখনও কখনও খুদেকে বন্ধুদের টিটকিরির মুখে পড়তে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সন্তানকে বোঝা, তার পাশে থাকা কখনও কখনও হয়ে উঠতে পারে কঠিন। সব সময়ে খুদের পাশে আছেন, এটা তাকে বোঝাতে হবে। সে কী বলতে চাইছে শুনতে হবে।
কৈশোর
এই সময়টা বাবা ও মা দু’জনের কাছেই সন্তান লালন-পালনের জন্য বেশ ঝক্কির। একটা বয়সের পর সন্তানদের শরীরে বদল আসে। হাজার প্রশ্ন তৈরি হয়। সেই সময়ে তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, যৌনশিক্ষা খুব জরুরি।
প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের পাশে থাকাও জরুরি
সন্তান ১৮ হলেই সে সবটুকু নিজে করতে পারবে, এমনটা নয়। বরং মা-বাবার মানসিক সমর্থন তার সব সময়ে দরকার হয়। এই বয়সের ছেলে ও মেয়েরা ভুল পথে চালিত হতে পারে। জীবনে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে বাবা-মা হিসাবে দায়িত্বপালন কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy