শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য মানবদেহে যেমন জলের প্রয়োজন, পোষ্যেরও তাই। জল কম খেলে জলশূন্যতায় ভুগতে পারে সারমেয় থেকে মার্জার। তবে সব সময়ে কি আর জল খেতে ভাল লাগে?
আরও পড়ুন:
বাতানুকূল ঘরে বসে থাকলে ঘাম কম হয়, জলতেষ্টাও কমে যায়। শীতের দিনেও তেমন হয়। তেষ্টা পায় না বলে জল কম খাওয়া হয়। একই ঘটনা হতে পারে পোষ্যের সঙ্গেও। নিয়ম করে যদি সারমেয়র জল খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়, দিতে পারেন অন্য রকম কিছু পানীয়। স্বাস্থ্যবান্ধব এবং স্বাদ বদল হতে পারে এমন কোন পানীয় তাদের দেওয়া যায়?
ফলের রস: শরীর তরতাজা রাখতে ফলের রস খাওয়ানো যায় সারমেয়কে। তবে প্যাকেটবন্দি রস নয়। টাটকা রস করে দিন চিনি, নুন ছাড়া। তরমুজ, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, পেঁপে— এই ধরনের ফল কুকুরকে খাওয়ানো যায়। এমনই কোনও ফলের রস করে দিতে পারেন আদরের পোষ্যকে।
স্ট্যু: শীত আসার সময়ে মানুষের যেমন গরম গরম খাবার খেতে ইচ্ছা হয়, পোষ্যকেও তেমনটা দেওয়া যায়। নুন, তেল ছাড়া সব্জি, মাংস সেদ্ধ করে দিন। সব্জি সেদ্ধ করা সেই স্ট্যু পোষ্যকে খেতে দিন। দরকার হলে সব্জি বা মাংস তুলে রেখে শুধু ব্রথটাই দিতে পারেন। প্রোটিন, ভিটামিনে ভরপুর এই খাবার পোষ্যকে চাঙ্গা রাখবে।
ডাবের জল: জল কম খেলে পেটগরম হতে পারে পোষ্যেরও। ডাবের জল খাওয়ানো যায় তাকে। বিশেষত দৌড়ঝাঁপ করে কাহিল হয়ে পড়লে ডাবের জল দেওয়া যেতে পারে তাকে। তবে পরিমিত পরিমাণে। দিনে এক বারই যথেষ্ট। ডাবের জলে থাকা ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন পোষ্যের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়াও, কাঠবাদাম বা নারকেলের দুধ দেওয়া যেতে পারে পোষ্যকে। তবে অল্পমাত্রায়। পোষ্যের হজম করার ক্ষমতা বা শরীর বুঝে। এ ক্ষেত্রে পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ।