বাড়িতে পোষ্যেরা বিভিন্ন ভাবে আকারে-ইঙ্গিতে পালকের প্রতি তাদের বিশ্বাসের প্রদর্শন করে। কিন্তু অনেক সময়েই তাদের আচরণ শনাক্ত করা যায় না। পোষ্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এই বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কয়েকটি স্বভাব বা আচরণ লক্ষ্য করা যেতে পারে—
আরও পড়ুন:
১) কুকুরেরা সব সময়েই সেই ব্যক্তির পাশেই ঘুমোতে পছন্দ করে, যাদের প্রতি তাদের বিশ্বাস রয়েছে। যদি তাদের মনখারাপ হয়, তা হলে সাধারণত তারা একান্তে ঘুমোতে চায়। ফলে পোষ্য যদি আপনার পাশে ঘুমোয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনার প্রতি তার বিশ্বাস অটুট রয়েছে।
২) যদি দেখা যায়, পোষ্য আপনাকে অনুসরণ করছে বা আপনার নির্দেশ পালন করছে, তার অর্থ আপনার প্রতি তার বিশ্বাস বেড়েছে।
৩) বাড়িতে অনেকই সময়েই পোষ্যেরা তাদের মনিবের পিছু নেয়। সাধারণত, মানুষের উপর বিশ্বাস গাঢ় হলে তা হলেই পোষ্যেরা এ রকম আচরণ করে থাকে।
৪) পোষ্য আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য অনেকই সময়েই পেটের দিকটি উন্মুক্ত করে রাখে। আবার মাটিতে গড়াগড়ি খায়। কুকুর যদি তার পেটে স্পর্শ করতে দেয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনাকে সে বিশ্বাস করে।
৫) ছোট বয়সে বহু কুকুরকে পোষ মানানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তির উপর পোষ্যের বিশ্বাস বাড়লে, তখন সে সহজেই নির্দেশ পালন করতে শুরু করে।
৬) মন ভাল থাকলে পোষ্য সাধারণত চোখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। আদর বা খিদে পেলেও তারা একই ভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়। আর কারও প্রতি বিশ্বাস না তৈরি হলে পোষ্যের আচরণও অন্য রকম হয়।
৭) অনেক সময়ে না চাইতেই বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোনও জিনিস পোষ্য হাজির করতে পারে। বিষয়টিকে সে ‘উপহার’ হিসেবেই দেখে। এই ধরনের আচরণ বাড়ার নেপথ্যে থাকে অটুট বিশ্বাস।