বাড়ির পোষা কুকুরের খাওয়াদাওয়া নিয়ম মেনে করাই জরুরি। আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবার বা যা খুশি খাইয়ে দিলেই কিন্তু হল না। ইদানীং কালে বাড়ির পোষ্য কুকুরও টিক জ্বর ও ব্যাবেসিওসিসে আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রামক অসুখবিসুখ মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তাই পোষ্যকে খাওয়ানোর সময়ে খুব বেশি সতর্ক থাকতেই হবে। কী কী করবেন আর কী নয়, তা জেনে রাখা ভাল।
পোষ্যকে খাওয়ানোর সময়ে কী নিয়ম মানবেন?
দোকান থেকে কেনা ডগ ফুড যদি খাওয়ান, তা হলে আপনার পোষ্যের জন্য কোনটি উপযোগী হবে, তা দেখে কিনতে হবে। প্রজাতি, ওজন, উচ্চতা বুঝে তবেই ডগ ফুড বাছবেন। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।
নির্দিষ্ট সময়েই খাওয়াবেন। একটি সময় ঠিক করুন, সেই সময়েই পোষ্যকে খাবার দেবেন। বারে বারে তার মুখে নানা রকম খাবার দেবেন না।
পর্যাপ্ত জল অবশ্যই খাওয়াতে হবে। পরিশুদ্ধ জলই দেবেন পোষ্যকে। ফিল্টারের জল বা সম্ভব হলে জল ফুটিয়ে খাওয়াবেন।
পোষ্যের রোজের খাবারে সবুজ সব্জি রাখতে হবে। কড়াইশুটি, গাজর, বিন্স, রাঙা আলু পোষা কুকুরকে খাওয়াতে পারেন। সব সব্জি সিদ্ধ করে একদমই তেল বা ঘি ছাড়া দিতে হবে কুকুরকে। তবে নুন ছাড়া খাওয়াতে হবে। কতটা সব্জি খাওয়াবেন তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।
ভাত বা দানাশস্য দুই-ই দেওয়া যেতে পারে পোষা কুকুরকে, তবে পরিমাপ বুঝে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ভাত দেওয়া যেতে পারে। ভাত সব্জি দিয়ে বা দই দিয়ে মেখে দিতে পারেন। দানাশ্যের মধ্যে ওট্স, বার্লি, রাগি দেওয়া যেতে পারে।
কী কী করবেন না?
খাওয়ানোর সময়ে পোষ্যকে জড়িয়ে ধরে আদর করা বা খেলানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ওদের অস্থিরতা আরও বেড়ে যায়।
খুব বেশি পরিমাণে খাওয়ানো কখনওই ঠিক নয়। আপনার পোষ্য ঠিক কতটুকু খেতে পারে এবং তাকে কী পরিমাণে খাওয়ানো উচিত, তা জেনে নিতে হবে। অতিরিক্ত খাবার জোর করে খাওয়ালে পোষ্যের ওজন বাড়বে, পাশাপাশি ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও বাড়বে।
অনেকেই বারে বারে পোষ্যকে বিস্কুট বা চকোলেট দেন। এমন অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। সে ডার্ক চকোলেট হোক, ক্যাডবেরি, চকোলেট কেক বা কুকিজ় যা-ই হোক না কেন, কুকুরের পেটে গেলে তা বিষক্রিয়ার কারণও হয়ে উঠতে পারে। যদি বেশি পরিমাণে চকোলেট খেয়ে ফেলে তা হলে শরীরের ভিতর রক্তক্ষরণও শুরু হতে পারে।
মিষ্টি লজেন্স, বেশি মিষ্টি দেওয়া খাবার কখনওই পোষা কুকুরকে দেবেন না। এগুলির মধ্যে থাকে জ়াইলিটল নামে একধরনের কৃত্রিম চিনি যা কুকুরের শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে লিভারের জটিল রোগ হতে পারে।
বেশির ভাগ কুকুরই ‘ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট’। দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য ওদের সহ্য হয় না। তাই ভুলেও কুকুরকে দুধ, ছানা, পনির এসব খাওয়াবেন না।