Advertisement
E-Paper

একসঙ্গে বৃদ্ধ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? কোন অভ্যাসে অটুট হবে সম্পর্ক?

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাই পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালবাসা, সম্মান। এগুলি ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের নেপথ্যে কিছু অভ্যাস আছে। মজবুত সম্পর্কের চাবিকাঠি আসলে সেগুলিই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১৬:১৫
Symbolic Image.

দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের চাবিকাঠি কী? ছবি:সংগৃহীত।

একরাশ স্বপ্ন, একসঙ্গে পথচলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হয় সম্পর্ক। অনেক সময়ে পরিস্থিতি, বদলে যাওয়া সমীকরণ, ব্যক্তিগত বোঝাপড়ার অভাব, মনোমালিন্য সেই সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দেয়। সম্পর্কের মেয়াদ শেষ হয় আচমকাই। সম্পর্কে থাকাকালীন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিচ্ছেদের ভাবনা মনে এলেই যেন বুক কেঁপে ওঠে। তবে সম্পর্ক হঠাৎ শেষ হয়ে গেলেও, ভাঙনের ঘুণ ধরে কিন্তু আগে থেকেই। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাই পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালবাসা, সম্মান। এগুলি ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের নেপথ্যে কিছু অভ‍্যাস আছে। সেগুলি যদি মেনে চলা যায়, তা হলে সঙ্গীর সঙ্গে বৃদ্ধ হওয়ার স্বপ্নপূরণ হলেও হতে পারে।

১) কথা বলা জরুরি। মনের মধ্যে কোনও সংশয়, দ্বিধা, ভাবনা, উদ্বেগ চললে তা চেপে রাখবেন না। বরং সঙ্গীকে খোলাখুলি বলে দিন। নিজের মধ্যে চেপে রাখলে শুধু কষ্ট নয়, সম্পর্কে জটিলতাও বাড়বে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্কের সুতো আলগা হতে শুরু করে। তার চেয়ে সরাসরি আলোচনা করাই শ্রেয়।

২) প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখার চেষ্টা করুন। কথা দিয়ে কথা না রাখার অভ্যাসে বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। দেখা করবেন বলে দেখা দিলেন না, কিংবা ফোন করার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন, দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

৩) সব সময়ে একে অপরের সঙ্গে মতের মিল হবে না। মতান্তর থাকবেই। তবে তাই বলে সব সময়ে অপর জনের বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক নয়। এমন অনেক বিষয় থাকবে, যা হয়তো আপনার পছন্দ নয়। কিন্তু সম্পর্কের কথা ভেবে কোনও কোনও সময়ে অপছন্দের পক্ষেও এক বার গিয়ে দেখতে পারেন। তাতে ক্ষতি কিছু হবে না।

৪) একসঙ্গে পথচলার ইচ্ছা ছাড়াও দু’জনের আলাদা কিছু স্বপ্নও থাকে। পরস্পরের সেই স্বপ্নগুলিকে সম্মান জানান। স্বপ্নপূরণে উৎসাহিত করুন। এতে সম্পর্কের শিকড় ধীরে ধীরে আরও গভীরে ছড়াতে শুরু করবে। সঙ্গীর ভরসার মানুষ হয়ে ওঠার কোনও বিকল্প নেই।

৫) সম্পর্কে আছেন মানেই ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু থাকবে না, তা নয়। সম্পর্কেও একটা লক্ষণরেখা থাকা জরুরি। চেষ্টা করুন সেই রেখা না ডিঙোনোর। তাতে সম্পর্ক ঠিক থাকবে। নতুন করে কোনও জটিলতাও জন্ম নেবে না।

Relationship Relation love
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy