আদরের ছোট্টটিকে মনের মতো করে সাজানো সব বাবা মায়েরই শখ। পুজোর পাঁচটা দিন আশ মিটিয়ে সেই শখ পূরণের সুযোগ মেলে। তাই পুজোয় ‘ঠাকুর দেখতে যাওয়ার’ জন্য ছেলেমেয়ের সাজগোজ কেনাকাটার পর্ব অনেক আগে শুরু হলেও শেষ হতে চায় না কিছুতেই। ভাল দেখতে জামা মনে ধরলেই সেটি সন্তানের জন্য কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরেন বাবা-মা। তবে আবেগে ভেসে কেনাকাটা করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে ভুলবেন না। এমনকি, উৎসবের দিনগুলিতে সন্তানকে সাজানোর সময়েও কিছু কথা মনে রাখা দরকার।
পোশাক নির্বাচন
১। সুতির মতো নরম এবং আরামদায়ক কাপড়ের পোশাক বেছে নিন। সিন্থেটিক বা শিশুর শরীরে অস্বস্তিদায়ক হতে পারে বা হওয়া চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, এমন কাপড় এড়িয়ে চলুন। শিশুর ত্বক স্পর্শকাতর হয়, অস্বস্তিকর কাপড়ে ঘষা লেগে জ্বালা করতে পারে। বেরোতে পারে র্যাশও।
পোশাক যেন শিশুর শরীরের আকারের সঙ্গে মানানসই হয়। ছবি : এআই সহায়তায় প্রণীত।
২। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সাজান। যদি সকালে চড়া রোদ থেকে বাইরে, তবে সবচেয়ে হালকা আর নরম জামা পরান। বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া ঠান্ডা হলে লেয়ার্ড পোশাক পরাতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রেও পোশাক সুতির হলেই ভাল বা এমন কাপড়, যাতে শরীরে হাওয়া চলাচল করে।
৩। পোশাক যেন শিশুর শরীরের আকারের সঙ্গে মানানসই হয়। খুব আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা পোশাক পরাবেন না, তাতে শিশুর চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
সাজের জিনিস
মেকআপ: শিশুদের ত্বকে খুব বেশি মেকআপ ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি মেকআপ ব্যবহার করতেই হয়, তবে ওয়াটার বেসড এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
গয়না: কানের দুল, চুড়ি বা পুঁতির মতো ছোটখাটো গয়না ১-৫ বছর বয়সিদের না পরানোই ভাল। কারণ ওই ধরনের জিনিস শিশুরা মুখে দিতে পারে, যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে। যদি গয়না পরাতেই হয়, তবে এমন গয়না বাছুন, যা নিরাপদ এবং সহজে খুলে ফেলা যায়।
হেয়ারব্যান্ড পরালেও নরম কাপড়ের বেছে নিন খুব আঁটসাঁট করে চুল বাঁধবেন না। ছবি : এআই সহায়তায় প্রণীত।
চুলের সাজ: ছোটদের চুলের সাজের নানা রকম জিনিস পাওয়া যায় বাজারে। দেখে কিনতে ইচ্ছে হলেও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন। নরম ব্যান্ড বা ক্লিপ ব্যবহার করুন। হেয়ারব্যান্ড পরালেও নরম কাপড়ের বেছে নিন। খুব আঁটসাঁট করে চুল বাঁধবেন না, কারণ এতে শিশুর মাথায় ব্যথা হতে পারে।
সাজে অস্বস্তি হচ্ছে কি না বুঝবেন কী ভাবে?
১। সাজানোর সময় শিশুর আচরণ লক্ষ করুন। সে বিরক্ত হচ্ছে কি? যদি বিরক্ত হয়, তবে বুঝতে হবে অস্বস্তি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সাজানো বন্ধ করুন, কোন জামা কাপড়ে অস্বস্তি হচ্ছে বোঝার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:
২। একই সঙ্গে পুরোটা সাজাবেন না। শিশুরা এক জায়গায় বেশি ক্ষণ থাকতে পছন্দ করে না। তাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে এমনিতেই বিরক্ত হবে।
৩। সাজানোর আগে এবং পরে শিশুর ত্বক এবং হাত ভাল করে পরিষ্কার করে দিন। মেকআপ বা অন্যান্য প্রসাধনী যাতে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে লেগে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।