গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে ভাবনা পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে। কোথায় রেখে যাবেন তাকে? যেখানে রাখবেন, সেখানে গিয়ে সে মানিয়ে নিতে পারবে কি?
এমন আশঙ্কা বহু পোষ্যের মালিকের মনেই কাজ করে। আসলে পরম যত্নে সারমেয়কে বড় করতে গিয়ে কখন সে পরিবারের একজন হয়ে ওঠে বোঝা যায় না। ফলে, বাড়ির লোকজন ছাড়া সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশে কী ভাবে সে থাকবে, সে ভাবনা অযৌক্তিক নয়। বেড়াতে গেলে বা বা়ড়িতে দেখাশোনার কেউ না থাকলে অনেকেই সারমেয়দের অন্যত্র রেখে যান। কুকুরদের দেখভালের জন্য এমন বিভিন্ন জায়গা রয়েছে, যেগুলিকে ক্রেশ, কেনেল বা ডে কেয়ার সেন্টার বলা হয়। তবে এমন কোথাও পোষ্যকে দিন কয়েকের জন্য রেখে যেতে গেলে তার প্রস্তুতি জরুরি।
১. নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য তাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারেন। সারমেয় সেই পরিবেশ চিনে নিতে পারবে।
আরও পড়ুন:
২. বেড়াতে যাওয়ার আগে পোষ্যকে সেই জায়গায় এক রাতের জন্য রাখুন। তার প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এটি জরুরি। এ ভাবে সে বাড়ির লোকেদের ছাড়া থাকতে অভ্যস্ত হবে।
৩. বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সারমেয়রও মানসিক যোগ তৈরি হয়। বাড়ির মানুষগুলির স্পর্শ, আদরে সে নিরাপদ বোধ করে। সর্ব ক্ষণ সে যদি বাড়ির লোকেদের সঙ্গে থেকে অভ্যস্ত হয়, তা হলে আচমকা তাদের না দেখতে পেলে ভয় পেতে পারে, মনে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। তাই আগে থাকতেই বাড়িতে কয়েক ঘণ্টার জন্য তাকে আলাদা ভাবে রাখুন। এতে একলা থাকার অভ্যাস তৈরি হবে।
৪. বেশ কি ছুক্ষণ একলা শান্ত হয়ে থাকলে তাকে পুরস্কার দিন। প্রাপ্তির আনন্দও তাকে নতুন অভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া সে বাড়ির সদস্যের মনের ভাব বুঝতে পারে। ফলে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়া, একলা ঘরে রাখা এই অভ্যাসগুলি তৈরির সময় বাড়ির মানুষগুলির শান্ত থাকা প্রয়োজন।
কী কী রাখতে হবে পোষ্যের সঙ্গে?
পোষ্যকে দিন কয়েকের জন্য নতুন আস্তানায় রেখে আসার আগে তার প্রয়োজনের জিনিস গুছিয়ে দেওয়া জরুরি। সারমেয়র থালা, বাটি, তোয়ালে, ওষুধ সঙ্গে দিন। পারলে যে বিছানায় সে শোয়, সেটিও সঙ্গে দিতে পারেন। নিজের জিনিস কাছে পেলে ভিন্ন পরিবেশ একেবারে অচেনা মনে হবে না তার। প্রতিটি সারমেয়র খাদ্যাভ্যাসও আলাদা হয়। তার পছন্দের খাবার সঙ্গে দিতে পারেন।