আগের দামালপনা নেই। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সারা দিনই কেমন শুয়ে বসে থাকে পোষ্য? তার কি বয়স বাড়ছে?
পশুরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষের যেমন বার্ধক্যে পৌঁছলে শরীর অশক্ত হয়, পোষ্যেরও হয়। অসুখ-বিসুখের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ক্লান্তি চেপে বসে। ঠিক সেই কারণে বয়স্ক পোষ্যের বাড়তি যত্ন, দেখাশোনার দরকার হয়। বার্ধক্যে পৌঁছনো আদরের বিড়ালটিকে এমন সময় কী ভাবে যত্নে রাখবেন?
নজরদারি জরুরি: পোষ্যের ভাষা বুঝতে হলে তার আচরণের দিকে নজর রাখতে হবে। হঠাৎ করে খাওয়া কমে যাওয়া, বেশি হাঁটাহাটি করতে না চাওয়া, ঝিমুনি ভাব রোগের লক্ষণ হতে পারে। বয়স হলে আর্থ্রাইটিস, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস-সহ নানা রকম অসুখ হতে পারে। ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে। তাই বিড়ালের হাঁটতে চলতে অসুবিধা হচ্ছে কি না থেকে তার খাওয়া –ঘুমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা: অনেক সময় বাহ্যিক লক্ষণ তেমন প্রকাশ না পেলেও শরীরে নানা রকম অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। বিড়াল যে হেতু সেটি বলে বোঝাতে পারবে না, তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। দ্রুত রোগ চিহ্নিত হলে চিকিৎসা সহজ হবে।
আরও পড়ুন:
খাবার: সুস্থ থাকতে গেলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। তা ছাড়া যদি পোষ্যের স্থূল হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তা হলে ক্যালোরির দিকটিও মেপে দিতে হবে। ঘরোয়া খাবার প্রোটিনে মাত্রা যেন ঠিক থাকে, দেখা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পোষ্যের ডায়েট তালিকা বানিয়ে নিতে পারেন।
শোয়ার জায়গা: বয়স হলে বিড়ালের শরীরেও ব্যথা হতে পারে। তা ছাড়া গদিওয়ালা শয্যায় সে আরাম করে ঘুমোতে বা বসতে পারবে। পোষ্যের শয্যাটি আরামদায়ক হওয়া জরুরি।
প্রয়োজনের জিনিস: পোষ্য যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তার উপযোগী জিনিসপত্র কাছাকাছি রাখতে হবে। বিড়াল খুবই পরিচ্ছন্ন প্রাণী। তারা নোংরা জায়গা একেবারেই পছন্দ করে না। ফলে তার মল-মূত্র ত্যাগের পাত্র ঠিক স্থানে রাখতে হবে। পোষ্যের হাঁটাচলায় কোনও অসুবিধা থাকলে, তার সুবিধা হয় এমন কোনও ব্যবস্থা করে দেওয়া জরুরি।