Advertisement
E-Paper

পুজোর আগেই অ্যাকোয়ারিয়ামে বাড়ি সাজানোর পরিকল্পনা? মাছের যত্ন কী ভাবে নেবেন?

নতুন অ্যাকোয়ারিয়াম কিনতে চান? তার আগে জেনে নিন, মাছেরা কী ভাবে ভাল থাকবে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫
অ্যাকোয়ারিয়াম কেনার আগে কোন কোন বিষয় জানা জরুরি?

অ্যাকোয়ারিয়াম কেনার আগে কোন কোন বিষয় জানা জরুরি? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

বসার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় সুন্দর অ্যাকোয়ারিয়াম। জলে সাঁতরে বেড়ানো রঙিন মাছেদের দিকে তাকিয়ে থাকলেই ক্লান্তি কেটে যায়। তবে অ্যাকোরিয়াম শুধু বাড়ির সৌন্দর্যায়নের জন্য কেনা হয় না, বরং মাছের প্রতি ঝোঁকই এর মূল কথা। অ্যাকোয়ারিয়াম কেনার আগে মাছের পরিচর্যা কী ভাবে করবেন, সেটিও জানা জরুরি। না হলে, মারা যেতে পারে মাছ। সেটা কখনওই কাম্য নয়।

অ্যাকোয়ারিয়াম আর মাছ একই দিনে কেনা বড় ভুল হতে পারে!

যাঁদের মাছ বা অ্যাকোয়ারিয়াম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা কম, তাঁরা অনেকেই একই দিনে অ্যাকোয়ারিয়াম এবং মাছ কেনেন। নতুন অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ ছেড়ে দেন। অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিবেশ যত ক্ষণ না বসবাসের উপযুক্ত হচ্ছে, সেখানে মাছ ভাল থাকবে না। এমনকি, মাছ মারাও যেতে পারে। একে বলা হয় ‘নিউ ট্যাঙ্ক সিনড্রোম’। অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে মাছের বর্জ্য থেকে দূষিত পদার্থ তৈরি হয়। সেই পদার্থ জমতে থাকলে, দূষণের মাত্রা বেড়ে মাছের মৃত্যু হতে পারে। ঠিক সে কারণেই অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি প্রয়োজন। আর তা কখনও এক দিনে হয় না। নতুন অ্যাকোরিয়াম কেনার পর অন্তত ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়ার দরকার ‘সাইক্লিং’-এর জন্য। ব্যাক্টেরিয়া ঠিক ভাবে জলে তৈরি হলে তার পর সেখানে মাছ ছাড়তে হবে।

মাছের পরিচর্যাও জরুরি

কুকুর, বিড়াল পুষতে গেলে যতটা ঝক্কি— মাছের ক্ষেত্রে ততটা নয়, ভাবেন অনেকেই। যে কোনও প্রাণীর মতোই মাছেদেরও সঠিক খাবার এবং বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ না পেলে মাছের পক্ষে বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠা— কোনওটাই সহজ হয় না। মাছের জন্য উপযোগী পরিবেশ সম্পর্কে অজ্ঞতা সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই কোন ধরনের মাছ একসঙ্গে রাখা যায়, তাদের আচরণ, বৈশিষ্ট্য আগে থেকে জেনে তবেই অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা দরকার।

মাছের খাওয়া

মাছ জানে না, কখন খাওয়া থামাতে হয়। খাবার পেলে যতটা সম্ভব তারা খেয়ে নেবে। খুব দ্রুত খায় এক একটি মাছ। ফলে মাপ বুঝে খাবার দেওয়া জরুরি। অনেক সময়েই বেশি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে মাছ। তাই এক বারে বেশি খাবার দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু অনেক বাড়িতেই দিনে দু’বার বা মাছেদের খাওয়ার সময়ে খাবার দেওয়ার জন্য কেউ থাকেন না। এ ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ফিডারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

জল বদল

মাছের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যত ঘন ঘন সম্ভব জল বদল জরুরি। ফিল্টার পদ্ধতি কতটা শক্তিশালী, তার উপর নির্ভর করে কত দিন অন্তর জল বদলানো যায়। জলের পিএইচ মাত্রাও মাপতে হয়। তাতে হেরফের হলে মাছ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাপমাত্রা, পিএইচ মাত্রা, জলে বর্জ্যের পরিমাণ— এমন অনেক কিছু শর্তের উপর মাছের ভাল থাকা নির্ভর করে।

Fish Aquarium
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy