হাসপাতালে গেলে যেমন একটা গন্ধ পাওয়া যায়, বর্ষাকালে স্যাঁতেসেঁতে গন্ধ পাওয়া যায় কোনও কোনও ঘরে, তেমনই যে বাড়িতে পোষ্য থাকে, সেখানেও এক রকম গন্ধ নাকে আসে। যাঁদের বাড়িতে কুকুর, বিড়াল রয়েছে তাঁরা সেই গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও তা ভালমতোই টের পান বাড়িতে আগত কোনও ব্যক্তি বা অতিথিরা।
কখনও কখনও পোষ্যের গায়ে এমন বিশ্রী গন্ধ হয়, টেকা দায় হয়ে ওঠে। তার চলাফেরার জায়গা, বিছানা, তোয়ালে, এমনকি, প্রস্রাব থেকেও গন্ধ আসে। পোষ্যের গায়ের নিজস্ব গন্ধ থাকবেই, কিন্তু কী ভাবে ঘরের আবহ বদলে ফেলা সম্ভব হবে?
১. পোষ্যের শরীর থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোনোর কারণ হতে পারে অপরিচ্ছন্নতা। সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করে স্নান যেমন মানুষের জন্য জরুরি, তেমনটাই দরকার পোষ্যের জন্যও। সারমেয়, মার্জারের গায়ে গন্ধের কারণ যেমন অপরিচ্ছন্নতা হতে পারে, তেমনই হতে পারে ত্বকের সমস্যা, ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়া-জনিত সংক্রমণও। মরসুম অনুযায়ী কত দিন অন্তর কোন সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে পোষ্যকে স্নান করাতে হবে, পশুচিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া ভাল।
২. ঘরে গালিচা পাতা থাকে? পোষ্যের গায়ের বন্ধ বা অন্য কটু গন্ধ দূর করার জন্য বিশেষ ধরনের স্প্রে, রাসায়নিক, ক্লিনার পাওয়া যায়। গালিচা থেকে আসবাবে যা স্প্রে করে দেওয়া যায়। এগুলি পোষ্য বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর নয় বলেই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়। এই ধরনের জিনিসও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে সরাসরি পোষ্যের বিছানায় বা চাদরে তা না দেওয়াই ভাল। দিতে হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।
৩. পোষ্য নির্দিষ্ট জায়গায় প্রস্রাব করলে বেশি ক্ষণ ফেলে না রেখে তা পরিষ্কার করে নিন। অনেক সময় সারমেয় বা বিড়াল এ দিক-সে দিক প্রস্রাব করে। ঘরে তা থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। ঘর পরিষ্কারের জন্য নানা ধরনের সুগন্ধিযুক্ত জীবাণুনাশক পাওয়া যায়। পোষ্যবান্ধব যে কোনও জিনিস বেছে নিতে পারেন। ঘরদোর একাধিক বার পরিষ্কার করলেও গন্ধ কমানো যাবে।
৪. পোষ্যের জন্য সুগন্ধি, পাউডার, বাম— অনেক কিছুই পাওয়া যায়। কুকুর, বিড়ালের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি সুগন্ধি, পাউডার ব্যবহার করলেও কিছুটা সুরাহা হতে পারে।
৫. ঘরে আলো-হাওয়া আসতে দিলেই কিন্তু গুমোট ভাব, বিশ্রী গন্ধ অনেকটা কমে যায়। দরজা-জানলা খোলা রাখলেও গন্ধজনিত অস্বস্তি কাটানো যেতে পারে। পাশাপাশি, পোষ্যের বিছানা, চাদর কেচে দিলে, দু’দিন অন্তর পরিষ্কার করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।