Advertisement
E-Paper

দেখলেও গুরুত্ব দেন না! পোষ্যের বিষয়ে ছোটখাটো অবহেলা বিপজ্জনক হতে পারে

পোষ্যের সঙ্গে দিনরাত কাটিয়েও অনেক বিষয় চোখ এড়িয়ে যায়। ছোটখাটো লক্ষণও তার শরীরের রোগব্যাধির ইঙ্গিত দিতে পারে। কোন বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার।

পোষ্যের অনেক ছোটখাটো বিষয়ই চোখ এড়িয়ে যায়। তবে এগুলি ক্ষেত্রবিশেষে সমস্যার কারণ হতে পারে।

পোষ্যের অনেক ছোটখাটো বিষয়ই চোখ এড়িয়ে যায়। তবে এগুলি ক্ষেত্রবিশেষে সমস্যার কারণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৫
Share
Save

ভালবাসা-আদরে খামতি নেই। যত্নআত্তিও করেন নিয়ম করে। তার পরেও পোষ্যের ব্যাপারে কিছু বিষয় অনেক সময়েই চোখ এড়িয়ে যায় বাড়ির লোকেদের। কখনও আবার বিষয়টির গুরত্ব না বোঝায় সে দিকে নজর দেন না সারমেয়র অভিভাবকেরা। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেক সময় ছোটখাটো লক্ষণও গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।

১. সারমেয় শাবক নাদুসনুদুস হলে দেখতে ভালই লাগে। বাড়ির লোকেরাও চান, সে খাওয়া-দাওয়া করে দিব্যি সুস্থ থাকুক। তবে ছোটবেলায় গোলগাল চেহারা বলে যা ভাল লাগছে, সতর্ক না হলে সেটাই হতে পারে সমস্যার কারণ। দিনে দিনে পোষ্যদের স্থূলত্বের মতো অসুখ বাড়ছে। অতিরিক্ত ওজন আর্থ্রাইটিস, ডায়াবিটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

২. পোষ্যের দাঁত পরিষ্কারও জরুরি। তাকে শ্যাম্পু মাখিয়ে স্নান করানো হলেও চট করে এ দিকে কারও খেয়াল পড়ে না। পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে যেমন সেই কাজটি মাঝেমধ্যে করানো যায়, তেমনই চিকিৎসকের পরামর্শে সারমেয়র জন্য তৈরি মাজন দিয়ে তার দাঁত মাজাতে পারেন। অপরিচ্ছন্ন মুখগহ্বর থেকে অনেক সময় নানা রকম রোগ ছড়াতে পারে।

৩. পোষ্যের হাঁটাচলায় সমস্যা হলে বা আচরণে অস্বাভবিক কিছু চোখে পড়লে সতর্ক হতে হবে। অনেক সময় সামান্য চোটের কারণে কিন্তু তা হয় না। একটু বয়স হলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ দেখা দেয় কুকুরদেরও। শুরুতেই যদি রোগ চিহ্নিত হয়, তা হলে তার চিকিৎসাও সহজ হয়ে যায়। অস্থিসন্ধি ফুলে গেলে, খুঁড়িয়ে হাঁটলে বা পা ফেলতে অসুবিধা হলেই পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

৪. টিকাকরণে, প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ানোয় গাফিলতি না থাকলেও, অনেকেই কিন্তু নিয়ম করে পোষ্যকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান না। তবে বছরে অন্তত এক বার রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষায় দেখে নেওয়া যেতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের মাত্রা ঠিক আছে কি না। অনেক সময় বাইরে থেকে কোনও লক্ষণ না থাকলেও ভিতরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে।

৫. পোষ্যের আদরের ডাক, রেগে গেলে তার আচরণ হয়তো চেনা। কিন্তু সারমেয়র মনের খেয়াল কী ভাবে রাখবেন। অবসাদ, উদ্বেগ হয় তাদেরও। সব সময় তার সব আচরণের অর্থ অভিভাবক বুঝবেন, তা কিন্তু নয়। সে ক্ষেত্রে তাকে নজরে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।

Pet Care Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}