Advertisement
E-Paper

ছোট থেকেই সন্তানকে একটু একটু করে শেখান টাকাপয়সার মূল্য

জীবনের ক্ষেত্রে টাকাপয়সা কতটা জরুরি সেই শিক্ষা ছোট থেকেই সন্তানকে দেওয়া দরকার। জিনিস কেনা, সঞ্চয় কী ভাবে করতে হয় একটু একটু ভবিষ্যতের জন্য শেখাতে পারেন খুদে সদস্যটিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ১৬:১৭
ছোট থেকেই সন্তানকে  শেখানো দরকার টাকাপয়সার গুরুত্ব।

ছোট থেকেই সন্তানকে শেখানো দরকার টাকাপয়সার গুরুত্ব। ছবি: ফ্রি পিক।

বাবা-মাকে দেখেই শেখে সন্তান। পারিবারিক মূল্যবোধ, জিনিসপত্র নিয়ে তাদের ভাবনাচিন্তা গড়ে ওঠে বাড়ির বড়দের দেখেই। ছোট বলেই বাড়তি আদর-আবদার সবটাই পায় সে। আর সেটাই স্বাভাবিকও। সন্তানের আবদারে গুরুত্ব দেওয়ার পাশপাশি ছোট থেকেই যদি একটু একটু করে তাদের টাকাপয়সার গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া যায়, সেটা তার ভবিষ্যতের জন্যেই ভাল হবে। যে কোনও জিনিস কেনার সমস্ত বায়না না মিটিয়ে সেই চাহিদাকে সামনে রেখেই কিন্তু সন্তানকে টাকার গুরুত্ব এবং একইভাবে জিনিসের কদর করতে শেখানো যেতে পারে।

১. সন্তান যখন ব়ড় হচ্ছে বুঝতে শিখছে ঠিক তখন থেকেই টাকাপয়সা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা তার মতো করে বোঝানো দরকার। বাবা-মা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি টাকাপয়সা কী ভাবে খরচ করে, সেটাও কিন্ত সে তার মতো করে লক্ষ্য করে। তাই প্রথমেই এ বিষয়ে অভিভাবককে সতর্ক হতে হবে। কোনও জিনিস কিনতে গেলে টাকা লাগে, সেই টাকা কোথা থেকে আসে, টাকা জমালে তবেই জিনিস কেনা যায় এ ব্যাপারে তাদের বোঝাতে হবে।

২. কাজ করে টাকা রোজগার করতে হয়, টাকা থাকলে তবে খাওয়া, থাকা জীবনে চলা যায়, এমনকী তার খেলনা, চকোলেট সবই সেই টাকা থেকে আসে তা বুঝিয়ে টাকা জমানোর বিষয়ে খুদেকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে টাকা জমানোর কোনও মাটির পাত্র বা ‘পিগি ব্যাঙ্ক’-এর মাধ্যমে তাকে সঞ্চয় শেখানো যায়।

৩. পেরেন্টিং কোচ পল্লবী রাওয়ের পরামর্শ, বয়স অনুযায়ী বাচ্চাকে ছোট ছোট কাজ দেওয়া যেতে পারে। কাজটা করতে পারলে পুরস্কার বাবদ টাকা দিতে হবে। এতে সন্তান বুঝতে শিখবে টাকা চাইলেও পাওয়া যায় না, তার জন্য কাজ করতে হয়।

৪. টাকা জমিয়ে কী ভাবে জিনিস পাওয়া যায় সেটা বোঝাতে বাচ্চাকে লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া যেতে পারে। যেমন পছন্দের কোনও খেলনা সেটার দাম কত। সেই খেলনা পেতে হলে কী ভাবে টাকা জমাতে হবে। আবার হয়তো তারই জন্মদিনের অনুষ্ঠান, তাকে বলা যেতে পারে এক বছর ধরে টাকা জমিয়ে সেই টাকা দিয়ে বাবাকে কিছুটা সাহায্য করার। এতে বাচ্চার মধ্যে দায়িত্ববোধও তৈরি হবে।

৫. কোনটা প্রয়োজন আর কোনটা না হলেও চলবে এখন সেই বোধটা তৈরি করতে হবে খুদের মধ্যে। বাবা-মায়ের মধ্যেও যদি যখন তখন যে কোনও জিনিস কেনার প্রবনতা সে দেখে, সেটাই শিখবে। তাই অভিভাবকদের এক্ষেত্রে যেমন নিজেদের সংযত করতে হবে তেমনই বাচ্চাদের জিনিসের দাম আর গুণগত মান ঠিক হচ্ছে কি না, বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

৬. একটু বড় হলেই পরিবারের মোটামুটি কত আয়, কত খরচ, খাওয়া থেকে বিদ্যুৎ বিল বা জরুরি খাতে যে খরচ হয় সে সম্পর্কে ধারণ তৈরি করা যেতে পারে। পড়াশোনা করতে গেলে, থাকতে গেলে কী কী খরচ হয় সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করে দেওয়াটা দরকার।

৭. টাকা রোজগারের নতুনত্ব ধারণা যদি সন্তানের মাথায় আসে তাহলে তাকে উৎসাহিত করা উচিত। কোনও কিছুর জন্য অর্থ সংগ্রহ বা কাজের বিনিময়ে অর্থ রোজগারের বিষয়ে খুদে সদস্য আগ্রহী হলে তাকে সমর্থন করা উচিত। এই শিক্ষা ভবিষ্যতে তাকে বড় মাপের কাজ করতে উৎসাহ জোগাতে পারে।

৮. ভুল কিন্তু শিক্ষার অঙ্গ। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বা খরচে অনেক সময় ভুল হয়। বাচ্চাদের সঙ্গেও প্রয়োজন মতো কোনও ভুল নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। বাচ্চারাও যাতে ভুল থেকে শিখতে পারে সে ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা যেতে পারে।

money Money Savings Money Saving Tips child Parenting Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy