Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Extra Marital Affair

মায়ের পরকীয়ার কথা যেন বাবা না জানতে পারেন, তাই কি ঠান্ডা মাথায় খুনের ছক কষেন তরুণী

২১ বছর বয়সি শাকিব হুসেন ও মহম্মদ হাশিমকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে মহেক বুখারি নামে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন দু’জনকে খুন করেন ২৩ বছরের তরুণী?

Mahek Bukhari

মায়ের পরকীয়া ঢাকতে মেয়ের কীর্তি। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২৩
Share: Save:

একসঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি নেটমাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন মায়ের প্রাক্তন প্রেমিক। সেই যুবককে শিক্ষা দিতেই খুনের ছক কষে ফেলেন তরুণী। মহেক বুখারি নামে সমাজমাধ্যমের এক প্রভাবীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ ওঠে আদালতে। ২১ বছর বয়সি শাকিব হুসেন ও মহম্মদ হাশিমকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের বাসিন্দা মহেকের বিরুদ্ধে।

২৩ বছর বয়সি মহেক বৃহস্পতিবার তাঁর মা-সহ আরও সাত জনের সঙ্গে লিসেস্টার ক্রাউন কোর্টে হাজিরা দেন। অভিযুক্ত সকলেই হত্যার কথা অস্বীকার করেন। আদালতে বলা হয়, শাকিব তিন বছর মহেকের মা আনশ্রিন বুখারির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তার পর এক দিন তিনি মহেককে আনশ্রিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। অভিযোগ, মহেকের বাবা ও ভাইকে ছবিগুলি পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। আনশ্রিনের কাছে ২০০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা) দাবি করেন ভিডিয়ো ও ছবিগুলি মুছে ফেলার জন্য।

আদালতে ট্র্যাফিক পুলিশের একটি রেকর্ড করা কল শোনানো হয়। সেখানে শাকিবের গলা শোনা যায়। শাকিব পুলিশকে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’’ মহেক তাঁর মা ও সঙ্গীদের নিয়ে শাকিবের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন। প্রাণরক্ষার জন্য শাকিব গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। গাছের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় দু’জনের। ঠান্ডা মাথায় মহেক ও তাঁর মা শাকিবদের হত্যা করেন বলে আদালতে অভিযোগ ওঠে। মা-মেয়ের মধ্যে ফোনের মাধ্যমে যে সব বার্তা চালাচালি হয়েছিল, তার অনেক কথা আদালতে জমা করা হয়। পুলিশের মতে, তা থেকেও স্পষ্ট যে, তাঁরা দু’জনে মিলেই খুনের ছক কষেছিলেন। আদালত অবশ্য এই মামলায় এখনও কোনও রায় দেয়নি। মামলা এখনও চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE