স্বামী শ্রীরাম নেনের কাছে গাড়ি চালানো শিখতে নারাজ ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। এমন নয় যে, গাড়ি চালানো নিয়ে তাঁর ভীতি ছিল। কিন্তু আর যার কাছ থেকেই হোক না কেন, স্বামীর কাছে নয়! এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী। আর সে কথা প্রকাশ্যে আনেন তাঁর স্বামী, চিকিৎসক শ্রীরাম।
নেনের কথায় জানা যায়, ড্রাইভিং শেখার পর কিন্তু মাধুরী অসম্ভব সাহসী চালক। তিনি এমনকি ট্র্যাক ড্রাইভিংও পছন্দ করেন। যার অর্থ হল, রাস্তাঘাটে নয়, বদ্ধ জায়গায় ট্র্যাক কাটা থাকে, সেখানে উচ্চ গতিতে একই ট্র্যাকে টানা গাড়ি চালিয়ে যেতে হয়। অনেকটা গাড়ির প্রতিযোগিতার মতো। গতির কাঁটা বাড়িয়ে গাড়ি চালাতেই ভালবাসেন মাধুরী। এমন উত্তেজনাই তাঁকে টানে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন স্বামীর কাছে ড্রাইভিং শিখতে চাননি অভিনেত্রী? নেনে বলেন, ‘‘মাধুরী আমার কাছে গাড়ি চালানো শিখতে চায়নি, কারণ তার মতে, এর ফলে আমাদের মধ্যে অবশ্যই সমস্যা দেখা দেবে।’’
কেন স্বামীর কাছে ড্রাইভিং শিখতে চাননি অভিনেত্রী মাধুরী?
গাড়ি চালানো শেখা এবং দাম্পত্যকলহ, এই দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?
গাড়ি চালানো শেখার অর্থ হল, প্রত্যেকটি মুহূর্তে একাধিক জিনিসে মনোযোগ দেওয়া। স্টিয়ারিং, পিছনে দেখার একটি কাচ, দু’পাশে দু’টি কাচ, গিয়ার, ক্লাচ, ব্রেক, অ্যাক্সিলারেটর, আরও কত কত দিকে মাথা দিতে হয় সারা ক্ষণ! পাশে যাঁর কাছে শিখছেন, তাঁর গলার আওয়াজ, তাঁর নির্দেশ অনুসরণ করা। কারও ক্ষেত্রে পাশের মানুষটি তাঁর সঙ্গী। সর্ব ক্ষণ উৎকণ্ঠা, অ্যাড্রিনালিন নিঃসরণ। ওই গাড়ির মধ্যে তখন চাপানউতর প্রবল, সে সময়ে সঙ্গী পাশে থাকলে, তর্কাতর্কি বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাইরের কোনও ব্যক্তি হলে ভদ্রতাবশত চুপ করে থাকতে হয়। উপরন্তু পেশাগত প্রশিক্ষকদের মাথা ঠান্ডা রাখার অনুশীলন করতে হয়। কিন্তু সঙ্গীদের মধ্যে এমন অনেক ক্ষেত্রে তুমুল বিবাদ হতে দেখা যায়। প্রশিক্ষক যদি ক্রমাগত ভুল চিহ্নিত করতে থাকেন, তাতে রাগ হতে পারে শিক্ষানবিশের, প্রশিক্ষকের বলার মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকলে, সে বিবাদ আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর সেটি যে কখনওই বিচ্ছেদের সূত্রপাত হবে না, তা-ই বা কে বলতে পারে!
মাধুরী বিচক্ষণের মতো এত সব কিছু ভাবার পরই স্বামীর কাছে প্রশিক্ষণ নিতে নারাজ ছিলেন। হয়তো সত্যি, গাড়ি শিখতে গিয়ে, দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারত।