সম্প্রতি বাড়িতে এক খুদে সদস্যের আগমন হয়েছে। মানুষ নয়, সে চারপেয়ে। তাকে নিয়ে বাড়ির সকলেরই ব্যস্ততা তুঙ্গে। কোথায় যাচ্ছে, চোখের আড়ালে কী মুখে দিচ্ছে, কোথায় মল-মূত্র ত্যাগ করে আসছে— সব দিকে নজর রাখতে হয়। তবে একটি জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কিছুতেই তার নাক থেকে ভিজে ভিজে ভাব যেতে চাইছে না। ঠান্ডা লাগল না কি অন্য কোনও সমস্যা হল, তা-ও ঠাহর করতে পারছেন না। মানুষের ক্ষেত্রে তো তেমনটা হলে তবেই নাক থেকে জল পড়ে। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয় কেন? পশুচিকিৎসকেরা বলছেন, সারমেয়দের নাক স্বাভাবিক নিয়মে সব সময়ে ভিজে থাকে। তাদের ঘ্রাণশক্তি প্রখর হওয়ার নেপথ্যে নাক আর্দ্র থাকার বিশেষ ভূমিকাও রয়েছে। একেবারেই মানুষের উল্টো।
কুকুরদের নাকে প্রায় ৩০ কোটি ‘অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টর’ রয়েছে, যেগুলি মানুষের নাকের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ দ্রুত গতিতে গন্ধ চিনতে সাহায্য করে। সারমেয়দের নাকে ভিজে ভিজে ভাবটা না থাকলে বরং চিন্তার কারণ রয়েছে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন:
১) কুকুরদের নাকে স্বাভাবিক ভাবেই মিউকাস থাকে। প্রায় সব জিনিসই তারা নাক দিয়ে, ঘ্রাণ শুঁকে বোঝার চেষ্টা করে। তাই সব জায়গায় নাক স্পর্শ করে। এই মিউকাস বা ভিজে ভিজে ভাব তাদের নাকে অনেকটা বহিরাবরণের মতো কাজ করে।
২) ঘন ঘন নাকে জিভ বোলালেও কিন্তু কুকুরদের নাক ভিজে থাকতে পারে। এমন আচরণ দেখেও অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই। সারমেয়রা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ইন্দ্রিয়টিকে জিভ দিয়ে সব সময়ে পরিষ্কার করে রাখতে চায়।
৩) আবহাওয়ার জন্য সারমেয়দের নাকের এই ভিজে ভিজে ভাবে হেরফের হতে পারে। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা কোনও জায়গায় গেলে সেখানকার তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। শরীরের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে মিউকাসের মাত্রা কমবেশি হতে পারে।
৪) খেয়াল করবেন, সারমেয়দের দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে নাকের ভিজে ভাব কমে আসে। কারণ, নাকের ওই মিউকাস তাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।