ভাস্কর্যে কখনও উঠে আসে সময়ের কথা, কখনও অকালের কাব্য। শিল্পী বিমল কুন্ডুর কাজ এমন নানা কারণে পরিচিত ও প্রশংসিত। আপাত ভাবে দেখতে যতটাই স্পষ্ট তাঁর কাজ, আদতে ততটাই গভীর। শিল্প-গবেষকদের জগতে এ ভাবেই পরিচিত এই শিল্পীর ভাস্কর্য।
শিল্পীর সঙ্গে প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
বিমলবাবুর হাতে তৈরি অতি গভীর ও আপাত সরল বহু ভাস্কর্য নিয়ে শহরের এক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে নতুন প্রদর্শনী। শনিবার তার সূচনা হয়েছে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের হাতে।
বিমল কুন্ডুর হাতের কাজ। — নিজস্ব চিত্র।
কাঠ থেকে পাথর, চামড়া থেকে ফাইবার গ্লাস— রকমারি সমাগ্রী নিয়ে কাজ বিমলবাবু। নানা ধরনের জিনিসের ব্যবহারে তাঁর ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলে ব্যক্তিজীবনের গভীরতম অনুভূতির কথা। দর্শককে আহ্বান জানায় সে সব সৃষ্টি। জড়াতে চায় ভাবনার আদানপ্রদানে। তার মাধ্যমে আরও দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় শৈল্পিক অভিব্যক্তি। এ ভাবেই বিমলবাবুর শিল্প কখনও অতি ব্যক্তিগত কিছু তুলে ধরে। কখনও আবার বৃহত্তর জাগতিক বহুস্বর একত্র করে তার উদ্যাপন করে।
তেমনই বহু ভাস্কর্য এখন সাজানো হয়েছে কসবা অঞ্চলের মায়া আর্ট স্পেসে। রোজ দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেখা যাবে শিল্পীর হাতের কাজ। প্রদর্শনী চলবে রবিবার, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।