সন্তানের জন্মের পরে মায়েদের ঘুম কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত
সন্তানের জন্মের পর বেশির ভাগ মায়েরই ঘুম কমে য়ায়। ঘুমের এই ঘাটতি বয়সের ছাপ ফেলে তাঁদের মধ্যে। বাড়িয়ে দেয় শরীরের কোষের বয়স বৃদ্ধির হার। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হবু মা এবং নতুন মায়েদের নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সন্তানের জন্মের মাস খানেক আগে থেকে জন্মের এক বছর পর্যন্ত ঘুম কমে যায় বহু মায়ের। রোজ সাত ঘণ্টার কম ঘুম প্রভাব ফেলে তাঁদের শরীরের কোষের গঠনে। আর তাতেই বয়সজনিত লক্ষণগুলি দ্রুত হারে বাড়তে থাকে।
কী হয় এ ভাবে ঘুম কমে গেলে? গবেষণা বলছে, সাদা রক্ত কণিকার ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্ত, যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় টেলোমেয়ার বলা হয়, সেটির দৈর্ঘ্য কমে যায়। আয়ু এবং ‘জৈবিক বয়স’-এর অনেকটাই নির্ভর করে এই টেলোমেয়ারের দৈর্ঘ্যের উপর। এটি কমে গেলে দ্রুত হারে বাড়তে থাকে ‘জৈবিক বয়স’।
কিন্তু শুধুই কি বয়সের ছাপ? ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, শুধু বয়সের ছাপ নয়, টেলোমেয়ারের দৈর্ঘ্যে কমে যাওয়ার কারণে নানা রকম অসুখের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। টানা ছ’মাস রোজ সাত ঘণ্টার কম ঘুমোলে ক্যানসার, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য নানা অসুখের আশঙ্কা। এমনকি আয়ুও কমে যেতে পারে এর ফলে।
গবেষকদলের প্রধান জুডিথ ক্যারোল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নতুন মায়েদের ঘুম কমে যাওয়া, রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুম বয়সজনিত নানা অসুখের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। প্রতি এক ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমও তাঁদের আয়ু একটু একটু করে বাড়ায়।’’ তাঁর মতে, খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার মতোই ঘুমও সুস্থ জীবন এবং দীর্ঘ আয়ুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy