নুন শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে না, বহু খাবারই নুন ছাড়া বিস্বাদ। শুধু স্বাদের জন্য নয়, শরীরের জন্যও নুনের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। এতে রয়েছে সোডিয়াম। কোনও কারণে যদি মানব দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে যায়, তা হলেই গন্ডগোল। তবে নুন মাত্রাতিরিক্ত নয়, খাওয়া দরকার পরিমিত। এখানে অবশ্য নুনের গুণাগুণ নয়, আলোচ্য নুন দিয়ে আর কী কাজ হতে পারে।
কড়াই পরিষ্কার: অ্যালুমিনিয়াম হোক বা লোহার কড়া, তেলচিটে হয়ে গেলে সাবান ঘষেও তা তোলা যায় না। পুড়ে গেলে তো কথাই নেই। কড়াইয়ে একটু নুন ছড়িয়ে স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে দিন। দেখবেন মুহূর্তে তেলচিটে ভাব উঠে যাবে। নুন দিয়ে ঘষার পরে আবার বাসন মাজার সাবান ব্যবহার জরুরি। তবে এই পদ্ধতি ননস্টিকের কড়াইয়ে প্রয়োগ করতে যাবেন না। এতে বাসনের ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
ফল: ফল কেটে রাখলেই কালো হয়ে যায়। অল্প একটু নুন জলে মিশিয়ে সেই জলে কাটা ফল ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তুলে নিন। নুনের পরতের ফলে কাটা ফল চট করে কালো হবে না। আসলে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসার জন্যই ফলের রং বদল হয়। নুন সেই প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে।
সব্জি কাটার বোর্ড: আনাজপাতি কাটার বোর্ডট সাবান দিয়ে ধুলেও পেঁয়াজ, রসুনের গন্ধ যেতে চায় না। কাঠের বোর্ড হোক প্লাস্টিকের, এক চিমটে নুন ছড়িয়ে স্পঞ্জের সাহায্য ঘষে নিন। পাতিলেবুর টুকরো দিয়েও ঘষতে পারেন। পাতিলেবুর রস এবং নুনের মিশ্রণে বোর্ড শুধু ঝকঝকে হবে তা নয়, গন্ধও চলে যাবে।
ফ্রিজের গন্ধ: ফ্রিজে জিনিসপত্র রাখার ফলে কেমন একটা গন্ধ বেরোয়। নুন এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। একটি পাত্রে নুন নিয়ে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। সেটি ফ্রিজে রেখে দিলেই বাজে গন্ধ চলে যাবে।
হেঁশেল পরিষ্কারের কাপড়: হেঁশেল পরিষ্কার বা গ্যাস অভেন মোছার ন্যাতা যেমন বিশ্রি গন্ধ হয়, তেমনই তেল চট করে উঠতে চায় না। উষ্ণ জলে এক চিমটে নুন দিয়ে ন্যাতা ভিজিয়ে রাখুন। দুর্গন্ধ দূর হবে।