চালের ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়িয়ে চলুন কিছু বিশেষ উপায়ে। ছবি: শাটারস্টক।
রুটিনে বাঁধা জীবন। বাড়ির মাসকাবারি বাজারের জন্য সময় বরাদ্দ এক-দু’ দিন। এমনকি খাওয়ার চালটাও যে আগের মতো দেখে বেছে কিনব, সেই সময়টুকুও নেই। সবচেয়ে পরিচিত, বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের চাল-ডাল-তেল নিয়ে ছুট বাড়ির দিকে, আর নইলে দোকানীকে বিশ্বাস করে তাঁর দোকানে থলে ভরা চালেই রাখতে হয় আস্থা।
কিন্তু যে চালটা খাচ্ছি তা কি আদৌ আর্সেনিক মুক্ত, এই গ্যারান্টি কোথায় পাব? কী ভাবে বুঝব আমার সাদা ভাতের থালায় নিঃসাড়ে রাখা নেই ক্ষতিকারক রাসায়নিক? সার ও কীটনাশক তো প্রতিটি জমিতেই দেওয়া হয়, কিন্তু ধান থেকে চাল বানানোর সময়ে কতটা বিশুদ্ধ করে নেওয়া যায় তাকে?
এইসব প্রশ্নের ভুলভুলাইয়ায় না ঘুরে আসুন সতর্ক হই। প্রতি দিন যে চাল খাচ্ছি, তা যাতে রাসায়নিক ও কীটনাশক মুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে করি। ফুড সায়েন্স ও নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করলেই চালের শরীর থেকে আর্সেনিক তথা সব রকমের রাসায়নিক মুক্ত করা যায়।
আরও পড়ুন: মারাত্মক শ্রম ছাড়াই মেদ এড়িয়ে ফিট থাকুন এ সব উপায়ে
এমনিতে চাল পরিশোধন করার সময় এবং চাষের সময় কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। সে সব অবলম্বন করলে এড়াতে পারবেন অনেকটা ক্ষতি। জানেন তা কী ভাবে সম্ভব?
চাল ধোয়া
চাল পরিষ্কারের প্রথম ধাপ এটি। প্রথমেই একটি বড় পাত্রে প্রয়োজন অনুসারে চাল নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। চাল ধুতে হবে কলের জলে। অন্তত পাঁচ মিনিট জল বদল করে করে চাল ধুয়ে ফেলুন।
চাল ভিজতে দিন
চাল ভাল করে ধোয়া হয়ে গেলে অন্তত মিনিট কুড়ি চাল ভিজিয়ে রাখুন। চালের মধ্যে থাকা ধুলো ময়লা তো বটেই এমনকি রাসায়নিক থাকলেও তা অনেকটাই বেরিয়ে যাবে এই পদ্ধতিতে।
চাল ধোয়ার সময় সচেতন হোন। এতেই রুখে দেওয়া যায় অনেকটা রাসায়নিক।
নতুন জলে চাল ভেজানো
এবার ওই চাল ধোয়া জল ফেলে দিন। আরও দু’-তিনবার ধুয়ে নিন আপনার ভিজে চাল। এই পদ্ধতিতে অন্তত ৮০ শতাংশ পরিষ্কার করা সম্ভব চালকে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত জল খান? মস্ত বিপদ অপেক্ষা করছে কিন্তু!
আধসেদ্ধ করুন
সমীক্ষা বলছে, মিনিট দশেকের জন্যে ধুয়ে রাখা চাল গ্যাসে বসিয়ে নিয়ে, আধসেদ্ধ অবস্থায় জল ফেলে দিলে ৭৫ ভাগ আর্সেনিক মুক্ত হয়ে যায় চাল।
ভাত ফুটুক
ভাল করে টগবগিয়ে ফোটান আপনার ভাতকে। খাবার আগে পুরো মাড়টাই ফেলে দিন। আপনার চালে যদি কোনও দূষিত জিনিস থেকেও থাকে তা চলে যাবে মাড় ফেলে দিলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy