আসর: পর্যটকের ভিড় টি-বুটিকে। নিজস্ব চিত্র
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পর্যটকেরা ঢুকে পড়ছেন চায়ের টানে। চায়ের তৃষ্ণা যেমন মিটছে, তেমনি অসামান্য পরিবেশে চা পানের আসরে জমিয়ে আড্ডা মেরে ফের সতেজ হয়ে ঘুরতে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আর শুক্রবার বা শনিবার হলে তো কথাই নেই! এই দু’দিন সন্ধ্যা হতেই স্যাক্সোফোনে শ্রোতাদের জন্যে সুর মূর্চ্ছনার বন্দোবস্তও থাকে।
ডুয়ার্সের মালবাজার শহরে এমনই একটি টি-বুটিক খুলে পর্যটন মহলে সারা ফেলে দিয়েছেন অপালা ভদ্র রায়। মাঝেমধ্যেই বিশেষ দিনগুলিতে জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও আলোড়ন তুলে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যাতেই যেমন মালবাজার এবং ডামডিমের যুবকদের ব্যান্ড ‘উত্তরণ’কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শ্রোতাদের মুগ্ধ করে উত্তরণের অনুষ্ঠান। সেদিনই বাংলাদেশের পর্যটকেরাও ছিলেন এই বুটিকে। নাট্যকর্মী ও কবি শশাঙ্ক সাহা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ভাল মানের দার্জিলিং চা সর্বত্র পাই না। এখানে বেড়াতে এসে সেই চায়ের তৃষ্ণা যেমন মিটল, তেমনি মনের খোরাকও পেলাম।’’
উল্লেখ্য টি-বুটিকের কর্ণধার অপালা ভদ্ররায়ের চায়ের গুনগান শুধু মালবাজারে নয়, বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বা ডোভারলেন মিউজিক ফেস্ট, সর্বত্র অপালার বুটিকের কাউন্টার পৌঁছে যাচ্ছে। স্বামী শুভ রায় এবং শ্বশুর নীলমণি রায়েদের দেখভালে দার্জিলিং চায়ের নিজস্ব মালিকানা মিশন হিল নামের চা বাগান রয়েছে। একমাত্র সেই চা-ই তাঁর বুটিকে পরিবেশিত হয়। ভাল লাগলে সেই চা কেনার সুযোগও রয়েছে। পেয়ালা থেকে চামচ, সবেতেই অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকায় রুচিবোধও অন্য মাত্রা পেয়ে যায়।
অপালা বললেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই মালবাজার তথা ডুয়ার্সের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় হয়েছে। মানুষ এসে দু’দণ্ড বসছেন, চা খাচ্ছেন, দেখে তৃপ্তি পাই।” চায়ের বাইরে টা হিসাবে সুইটকর্ন, টোস্টও রয়েছে। সব মিলিয়ে ডুয়ার্সের খানা খাজানায় রমরমা এখন অপালার টি-বুটিকেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy